
|| বিনোদন ডেস্ক ||
রাত ২টার দিকে বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর হামলে পড়ে দুষ্কৃতিকারী। ধারালো ছুরির ছয় কোপে গুরুতর আহত হন ছোট নবাব। তৎক্ষণাৎ তাকে নেওয়া হয় লীলাবতী হাসপাতালে। পাঁচ দিনের চিকিৎসা শেষে ছুটি মিলেছে অভিনেতার। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার দৃশ্য এখন ভাইরাল।
তবে এসবের কিছুই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিনের। সামাজিক মাধ্যমে সাইফের পুরো ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিজের ফেসবুকে তসলিমা লিখেছেন, ‘সাইফ আলী খানের কোনো গল্পই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। যে লোকটাকে ধরা হয়েছে, আর যে লোকটাকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে, তারা এক লোক বলে মনে হচ্ছে না। বিখ্যাত এবং ধনাঢ্য মানুষদের বিল্ডিংয়ে কোনো সিকিউরিটি গার্ড নেই, বিশ্বাস করা যায় না।’
এরপর লিখেছেন, ‘সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস্য, সাইফকে ছুরিকাঘাত করার পর বিল্ডিং থেকে নির্বিঘ্নে চোর বাবাজি বেরিয়ে গেল। হেঁটে ১১ তলার সিঁড়ি পার হলো, গেট পার হলো। না দারোয়ান, না সাইফের বাড়ির কোনো কাজের লোক, কেউ এসে তাকে আটকালো না। সাইফকে হাসপাতালের পথে সঙ্গ দিতে হলো সাত বছর বয়সী তৈমুরকে। তাও আবার অটোরিক্সায়। কারিনা অথবা কোনো আত্মীয় বা প্রতিবেশী কেউ গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেল না হাসপাতালে, বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
অর্থাভাবে ভুগছিলেন হামলাকারী, চুরি করতে ঢোকেন সাইফের বাড়ি
তসলিমার কথায়, ‘সাইফের মেরুদণ্ডের খুব কাছে নাকি আড়াই ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছিল ছুরি। অস্ত্রোপচার হয়েছে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা, স্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে গিয়েছিল, আইসিইউতেও ছিলেন। যদিও চারদিন পর সাইফকে দেখে মনে হয়নি তার আদৌ কিছু হয়েছে। ঘটনাটা যখন পাবলিক করা হয়েছে, তখন প্রাইভেসি রক্ষা করার নামে মুখে কুলুপ আঁটা তো ঠিক নয়। খুব অদ্ভুত লাগছে যে সাইফ আলী খান জানিয়ে দিচ্ছেন না কী ঘটেছিল সে রাতে, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে অপরাধী কি না। তিনিই জানেন কী উদ্দেশ্য ছিল চোরের, শুধুই চুরি করা নাকি অন্য কিছু।’
এদিকে তসলিমার পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কারও মতে ঘটনাটি যত ঘোলাটে নয় তত ঘোলাটে করা হচ্ছে। কেউ মনে করছেন বিষয়টি সাজানো।