
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
গাজীপুর প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)।
রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা, সারাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রদান এবং নিহত তুহিনের পরিবারের পাশে থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানে অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে আহবান জানান।
কেইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্রনাথ সেনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মো: হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা ও নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে বাপী। খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক, খুলনা টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জামাল পপলু, কেইউজের সহ-সভাপতি কাজী শামীম আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিলন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সাগর সরকার, সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আলমগীর হান্নান, প্রবীর বিশ্বাস, সিনিয়র ফটো সাংবাদিক দেবব্রত রায়, সাংবাদিক হাসান আল মামুন, শাহজালাল মোল্লা মিলন, আমির সোহেল, ইমাম হোসেন সুমন, সোহেল রানা, এম রুহুল আমিন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা সাংবাদিকদেরকে শংকিত করে তুলেছে। হত্যার পর খুনীদের ফেসবুকে এসে উল্লাস মধ্যযুগীও বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। ইতোমধ্যেই কয়েকজন হত্যাকারী ধরা পড়েছে। বাকী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করে ফাঁসি দিতে হবে। তদন্তে গাফিলতি হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সমাবেশে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা হলেন, এই লোমহর্ষক ঘটনার পর সারাদেশের সাংবাদিকরা শংকিত হয়ে পড়েছে। সাংবাদিক নেতারা সারাদেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষা প্রদানের দাবি জানান। পাশাপাশি তুহিন নিহত হওয়ার পর তার পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। কারণ, তুহিনের আয়ের উপর পরিবার নির্ভরশীল ছিল। কাজেই আর্থিক সহযোগীতা প্রদানের মাধ্যমে তুহিনের পরিবারের পাশে সরকারকে দাড়াতে হবে।