
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
সশস্ত্র বাহিনী দিবস–২০২৫ উপলক্ষে খুলনা নৌঅঞ্চলে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপিত হয়েছে। দিনের শুরুতে ফজরের নামাজ শেষে খুলনাসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সব মসজিদে দেশের শান্তি–সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রগতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীরদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে খুলনা নৌঅঞ্চলের কমান্ডার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লাহর রূপসাস্থ মাজারে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে খুলনা নৌঘাঁটি বানৌজা তিতুমীরে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সামরিক কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনার বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চঘাটে বিকেল ৩টা থেকে দুই ঘণ্টা সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয় যুদ্ধজাহাজ বানৌজা “বিশখালী”। জাহাজটিতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। জাহাজ পরিদর্শনে আসা মানুষজন নৌবাহিনীর কার্যক্রম, সমুদ্র নিরাপত্তা, ডুবুরি দলের কাজ ও মহড়াসহ নানা বিষয়ে জানতে পারেন।
জাহাজের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট আফজালুল আলম ফরিদ জানান, নৌবাহিনী এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে আরও শক্তিশালী। সর্বশেষ সংযোজিত যুদ্ধজাহাজ বিশখালী গত এক বছরে বিস্তীর্ণ জলসীমায় টহল, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশি-বিদেশি জাহাজ সুরক্ষা এবং অবৈধ মৎস্য আহরণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
দর্শনার্থী তানিশা রহমান, ছোট শিক্ষার্থী সুদীপ্ত ও আবু বকর সিদ্দিক বলেন, যুদ্ধজাহাজ প্রত্যক্ষভাবে দেখার সুযোগ তাদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে। নৌবাহিনীর কার্যক্রম, জাহাজ পরিচালনা এবং জলসীমা রক্ষার কৌশল সম্পর্কে তাদের নতুন ধারণা তৈরি হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসকে কেন্দ্র করে খুলনা নৌঅঞ্চলে সারাদিনব্যাপী এ বর্ণাঢ্য ও প্রাণবন্ত আয়োজন এলাকাজুড়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে।
