
|| মোঃ আখতার হোসেন হিরন | সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ||
বর্ষায় নদী পারাপারসহ চলাচলের একমাত্র বাহন নৌকা। খালবিল ও নদী তীরবর্তী মানুষের জন্য বর্ষাকালে অপরিহার্য হয়ে ওঠে নৌকা। শুধু চলাচল নয় পণ্য আনা-নেওয়াতেও নৌকা বেশ উপযোগী বাহন। তাই ভরা বর্ষায় নৌকা তৈরিসহ মেরামতের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সলঙ্গা বাজারের নৌকার কারিগররা। এখন বাজারে বাজারে নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগররা কেউ নতুন নৌকা তৈরি করছেন আবার কেউ পুরোনো নৌকায় আলকাতরা মেখে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে তুলছেন। বন্যায় অনেকেই শুধু নিজ পরিবারের লোকদের চলাচলের জন্য নৌকা তৈরি করছেন।
স্থানীয়রা জানান, গাড়ুদহ নদী বেষ্টিত সলঙ্গায় বর্ষাকালে বন্যা দেখা দেয়। বন্যার পানিতে অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে মাছ শিকার করেন। পণ্য পরিবহনে এ সময় নৌকা হয়ে ওঠে প্রধান বাহন। এক বিল থেকে অন্য বিলে চলাচল করা ছাড়াও খেয়া পারাপারের ক্ষেত্রে প্রধান বাহন হিসেবে কাজ করে নৌকা।
রকমভেদে ছোট নৌকা তৈরিতে খরচ পড়ে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এরই মধ্যে যমুনা ও গাড়ুদহ নদীতে পানি বেড়েছে। এজন্য নৌকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে ব্যাপক হারে। সে জন্য নদী পারের মানুষ নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
নৌকা তৈরির সঙ্গে জড়িত বাসুদেবকোল গ্রামের আশা ফার্নিচারের মালিক জামাল হোসেন বলেন, ১০ হাত লম্বা একটি নৌকা তৈরি করে ১১ হাজার টাকায় বিক্রয় করি। গত বর্ষায় ৩০থেকে ৪০টি নৌকা তৈরি করেছিলাম। এবারও মোটামুটি অর্ডার পেয়েছি। এজন্য কারখানায় দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে। ছোট নৌকা বেশির ভাগই গাড়ুদহ নদীসহ খালবিলে মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি সলঙ্গা হাট থেকে উল্লাপাড়া বিল অঞ্চলের মানুষও নৌকা কিনে নিয়ে যায়।
নদী পারাপারসহ বিলাঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র বাহন নৌকা কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ার জন্য বর্ষাকালে ব্যবহার করা হয়। নৌকা ছাড়া নদী ও বিলাঞ্চলের মানুষের চলাচল অসম্ভব। তাই এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে এখন পুরোনো নৌকা মেরামত ও নতুন নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে।