|| নিউজ ডেস্ক ||
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মারা থেকে শুরু করে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত হত্যার ঘটনা ঘটেছে সব হত্যার বিচার দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তবে সবার আগে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ১৯ বছর পর প্রকাশ্যে জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াত আমির তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাদের চেয়ে বড় সন্ত্রাসী আর কেউ ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।
জামায়াতের আমির বলেন, ছাত্রলীগ নামে হাতুড়ি-হেলমেট বাহিনী তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ। ওবায়দুল কাদেররা অহংকার ও অন্যায় নিয়ে গর্ব করতেন। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। আজ উনারা কোথায় গেলেন। প্রতিটি অপকর্মের ফল তাদের পেতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেবে না, তবে জুলুমের শিকার প্রতিটি মানুষকে ন্যায়বিচার দেবে বলে জানান দলটির আমির।
বিপ্লবের পর জামায়াত কর্মীরা চাঁদাবাজি কিংবা দখল করেনি, বরং মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রায় ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত জামায়াতের এই রুকন সম্মেলনে ছিল উৎসবমুখর। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও মহানগরীর ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।