রবিবার, আগস্ট ২৪

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যাদেবী সরস্বতী পূজা আজ

|| ধর্ম ডেস্ক ||

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ সোমবার। হিন্দু ধর্মীয় বিধান মতে, এদিন শ্বেত হংসের পিঠে চড়ে পৃথিবীতে নেমে আসেন বিদ্যা ও ললিতকলার দেবী। কৃপা লাভের আশায় দেবীকে আজ আহ্বান করবেন ভক্তরা।

পূজামণ্ডপ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ঘরে ঘরে সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানমালায় আছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি। দেবীর সামনে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা হবে অনেক স্থানে।

হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা হয়। এই দিনে মা সরস্বতীর জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। ঋগ্বেদ অনুসারে, ব্রহ্মা তাঁর নিজের সৃষ্টিতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। চারদিকে নিস্তব্ধতা। তারপর তিনি তাঁর কমণ্ডলু থেকে জল ছিটিয়ে দিলেন, যার ফলে এক চতুর্ভুজা নারী তাঁর হাতে বীণা নিয়ে হাজির হলেন। ব্রহ্মার আদেশে দেবী বীণায় সুমধুর সুর তোলেন, যা বিশ্বকে শব্দ ও বাণীতে অভিভূত করে। এরপর ব্রহ্মা দেবীর নাম রাখেন ‘সরস্বতী’। যিনি সারদা ও বাগ্‌দেবী নামেও পরিচিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেবীর বাহুর সংখ্যা অধিকতর হলেও সাধারণত তিনি চতুর্ভুজা, পদ্মাসনা, শুক্লাবর্ণা, শুভ্রবর্ণা, বীণা-পুস্তক, জপমালা, সুধাকলসর্ধারিণী, চন্দ্রশেখরা, ত্রিলোচনা। কখনো দেবী দ্বিভুজা। তন্ত্রে সরস্বতী বাগীশ্বরী-বর্ণেশ্বরী সারদা।

মধ্যরাতে প্রতিমা প্রতিষ্ঠার পর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সকালে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়। এরপর চরণামৃত নেন ভক্তরা। সকাল থেকে উপবাস থেকে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে ভক্তরা প্রার্থনা জানান বিদ্যাধিষ্ঠাত্রীর।

এছাড়াও বাণী অর্চনা, আরাধনা এবং পূজার আচার পালন ও পুষ্পাঞ্জলি অর্পণও রয়েছে দেবীর উদ্দেশ্যে। পূজা উপলক্ষে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *