বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা এবং নৈরাজ্যের দায় নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে সমমনা ইসলামী দলগুলো। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন বিশেষ করে অনির্দিষ্ট কালের অসহযোগ কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় দলগুলো।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ খেলাফত মজলিসের মিলনায়তনে দলটির আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বলা হয়- সরকার কারফিউ জারি করে, ইন্টারনেট বন্ধ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর যে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। ইউনিসেফের তথ্য মতে ৩২ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থী, শিশু-কিশোরসহ হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে গণহারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। এখনো হত্যা, গ্রেপ্তার এবং হামলা চলছে। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিকদের ওপর রাষ্ট্রের সকল শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া ইতিহাসে নজিরবিহীন। সরকারের এ গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ রাজপথে নেমেছে। জনগণের অভূতপূর্ব ঐক্য জালিম সরকারের পতন নিশ্চিত করবে। তাই গণহত্যা আর জুলুম নির্যাতনের দায় স্বীকার করে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একইসঙ্গে চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি-হামলা বন্ধ করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত সকল ছাত্র-জনতাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা রোজাউল করিম জালালী, মাওলানা মামুনুল হক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা আজীজুল হক ইসলামাবাদী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা তাফাজ্জল হক আজিজ, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, খেলাফত মজলিসের জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, বাংলাদেশে খেলাফত মজলিসের মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, খেলাফত মজলিসের মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মুহাম্মদ শায়খুল ইসলাম, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আবু তাহের খান ও মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসউদ প্রমুখ।
বৈঠকে চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাৎ বরণকারীদের মাগফিরাত কামনা করে এবং আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া-মুনাজাত করা হয়।