সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ বুধবার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রায়হান শরীফ ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এর আগে গত সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক মহিউদ্দিন মাতুব্বর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
গত সোমবার কলেজের এমবিবিএস অষ্টম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনকে গুলি করার ঘটনায় আলোচনায় আসেন কমিউনিটি মেডিসিনের এই শিক্ষক। সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় চিকিৎসক রায়হান শরীফকে প্রথমে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। তাঁর কাছ থেকে সেভেন পয়েন্ট ফাইভ সিক্স বোরের ২টি বিদেশি পিস্তল, ৮১টি গুলি, ৪টি ম্যাগাজিন ও ১২টি বিদেশি চাকু উদ্ধার করা হয়। তবে তিনি দুটি বিদেশি পিস্তলের বৈধ কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেননি।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের বাবা একটি মামলা করেন। আর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক আবদুল ওয়াদুদ।