মঙ্গলবার, জুলাই ২২

লোহাগাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

|| স্টাফ রিপোর্টার (চট্টগ্রাম) ||

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রবাসীর বাড়ীতে দফায় দফায় হামলা ভাংচুর এবং লুটপাটের অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সোমবার (২১ জুলাই) সকালে উপজেলার একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী পরিবারের প্রবাসী নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বলেন,
বিগত ১৮/০৭/২৫ খ্রি. আমরা পারিবারিক দাওয়াতে আত্মীয়ের বাড়িতে যাই এবং সেখানে থাকি, এই সুযোগে ১৯/৭/২৫ খ্রি. আনুমানিক সকাল ১১টার সময় আমাদের দীর্ঘদিনের শত্রুপক্ষ একই এলাকার ১।ওমর আলী, ২।আব্দুর নূর,৩। আবুল হাশেম, ৪। আবুল হাশেম, ৫। মনির আহমদ, ৬। নুরুল আমিন, ৭। হাবিবুর রহমান সর্বসাং পুটিবিলা গৌড়স্থান নয়া পাড়া, তারা সকলেই আমাদের প্রতিবেশী। উল্লেখিত সময়ে আমরা কেউ ঘরে ছিলাম না, এই সুযোগে তারা আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীসহ ঘরের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, সিসি ক্যামেরা ভেঙে নিয়ে যাওয়ার সময় নতুন একটি তালা ঝুলিয়ে দেয়, খবর পেয়ে আমরা বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে আশপাশ থেকে জানতে পারি আমরা গেলে আমাদের প্রাণের ভয় আছে, তাই আমরা লোহাগাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি, এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে একইদিন রাতের অন্ধকারে আবারও বর্বর হামলা করে, ঘরের ব্যবহারের জিনিসপত্র ভাংচুর, মূল্যবান জিনিসপত্রসহ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার, জায়গা জমির কাগজ পত্র, এক টনের অধিক লোহার কয়েকটি বান্ডেল ও একটি মোটর সাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। ঘরের ভিতরে বাহিরে ব্যাপক ভাংচুর চালায় তারা, প্রায় দুই শতাধিক বৈদ্যুতিক বাল্ব একটাও অবশিষ্ট রাখেনি সব ভাংচুর করে নিয়ে গেছে। ঘরের ছাদে থাকা পানির ট্যাংক পাইপ লাইন ভাংচুর করে এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার ভাংচুর করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘরের বাহিরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

প্রতিকার চেয়ে লোহাগাড়ায় কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিমের সহযোগিতায় সন্ত্রাসীদের ঝুলানো তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করতে সক্ষম হই। এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আমাদের কষ্ট যেন শেষ হচ্ছে না। এখনো পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েই যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের চলমান এই হামলা নতুন কিছু নয়, যখন ২০২২ সালে ঘর তৈরির কাজ শুরু করা হয় তখনও তারা হামলা ভাংচুর চালায়, আমার প্রবাসী স্বামীর উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় আক্রমণ করে, স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেদিন প্রাণে বেঁচে যায় আমার প্রবাসী স্বামী, পরবর্তীতে তারা পরিকল্পিতভাবে ২০২৩ সালে আমাদের উপর আবারও হামলা করে এবং সম্প্রতি উল্লেখিত তারিখে সর্বশেষ হামলাটি হয়, এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় যাহা অপূরনীয়।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের মাধ্যমে জাতির কাছে দেশবাসীর কাছে, প্রশাসনের কাছে আমাদের নিরাপত্তাসহ তদন্তস্বাপেক্ষে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবার সদস্যবৃন্দসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *