
|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে চলতি সপ্তাহেই কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শিগগিরই সংঘাত বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছে আমেরিকা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবারই (১৮ মার্চ) কথা বলতে পারেন দুই প্রেসিডেন্ট। তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই’ দাঁড়ি পড়তে চলেছে। খবর তাস ও রয়টার্সের।
রবিবার (১৬ মার্চ) এমনই আশাপ্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তরা। তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা সারতে চলতি সপ্তাহেই কথা বলতে পারেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ট্রাম্পের দূত হিসাবে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ। রোববার তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে ‘ইতিবাচক’ বৈঠক হয়েছে তার।
আরও পড়ুন: ছোটবেলায় আমার স্কুলে যাওয়ার জুতা ছিল না: মোদি
ট্রাম্প এবং পুতিনের সম্ভাব্য বৈঠকও ‘ভালো এবং ইতিবাচক’ হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
সৌদি আরবে সম্প্রতি আমেরিকা এবং ইউক্রেনের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে ইউক্রেনকে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকা। তাতে রাজিও হয়েছেন জেলেনস্কি।
কিন্তু রাশিয়ার তরফে এখন পর্যন্ত আলোচনার টেবিলে বসা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। তা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপর চাপ বৃদ্ধি করেছে আমেরিকা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিও যুদ্ধবিরতির জন্য চাপে রাখছে রাশিয়াকে।এদিকে যখন আমেরিকা উদ্যোগী হয়েছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে, যখন শান্তি আলোচনার চেষ্টা চলছে, মধ্যস্থতার চেষ্টা চলছে, তখনও রুশ বাহিনী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের।
ক্রেমলিন দাবি করছে, তারা সীমান্তবর্তী কুর্স্ক শহর পুনর্দখল করে নিয়েছে। তার পর থেকেই ইউক্রেন বাহিনীকে আত্মসমর্পণের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
পুতিন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে তিনি আলোচনায় আগ্রহী। কিন্তু কুর্স্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। এখন পর্যন্ত জেলেনস্কি তাতে নারাজ।