শনিবার, মার্চ ১৫

রায়গঞ্জে হাঁড় কাঁপানো শীতে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক

|| ড. মো. গোলাম মোস্তফা | রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ||

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বোরো ধানের জমি তৈরি ও চারা রোপণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। গত তিন দিন সূর্যের দেখা নেই, আবার মাঘ মাসের ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাসের দাপটের হাঁড় কাঁপানো শীতে জনজীবনে স্থবিরতা দেখা দিলেও যারা মাঠে ফসল ফলায়, সেই কৃষকের যেন স্থবিরতা নেই।

রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার ৩ শত ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান লাগানো হয়েছে। কারণ এ বছর রায়গঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা সেই সরিষা ঘরে তুলে পুরোদমে বোরো ধান লাগাচ্ছেন। চলতি বছরে উপজেলায় জিরা শাইন জাতের ব্রি ধান-২৯, ব্রি ধান-৫৮, ব্রি ধান-৭৪, ব্রি ধান-৮১, ব্রি ধান- ৮৪, ব্রি ধান-৮৬, ব্রি ধান-৮৮ ও ব্রি ধান-৮৯ সহ অন্যান্য জাতের ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে।

উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বুলাকিপুর গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, শ্রমিক সংকটে বেশি মজুরি দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। দিন-রাত পরিশ্রম করে নিয়মিত পরিচর্যাও করা হচ্ছে। এ ছাড়াও গেল বছরের তুলনায় এ বছর বেশি খরচ হচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক লোকমান হোসনে বলেন, শীত একটু কমে গেলেই কৃষকেরা মাঠে নেমে যাবে। সেই হিসেবে আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে ইরি- বোরো ধানের চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে ধারণা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে তারা বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন।

রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুর রউফ বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার কৃষকদের বোরো ধান চাষে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে গোটা উপজেলায় পুরোদমে ধান লাগানো শুরু হবে। রোপণ শেষ হলে পরবর্তীতে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি স্থাপন করা হবে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান আবাদ হবে বলে তিনি আশা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *