
|| ড. গোলাম মোস্তফা | জেলা প্রতিনিধি (সিরাজগঞ্জ) ||
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে রমজান মাসকে ঘিরে বাড়ছে টক দই বিক্রি। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা রেখে ইফতারে টক দই দ্বারা ঠান্ডা শরবত বা ঘোল বানিয়ে পান করে তৃষ্ণা মেটান। শরীর দ্রুত শীতল করায় ক্রমাগত টক দই/সাদা দই ইফতারে কদর বেড়েছে। পাশাপাশি, তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে এর চাহিদাও বেড়ে যায়।
নানাবিধ পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ টক দই দ্রুত ক্লান্তি দূর করে। এমনকি দুধের চেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সমৃদ্ধ টক দইয়ে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী ব্যাকটেরিয়া, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও ফসফরাসের মতো উপাদান। এছাড়া নিয়মিত টক দই খেলে হজম শক্তির পাশাপাশি বাড়ে রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
রমজানে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া, চান্দাইকোনা, নিমগাছী, সলঙ্গা, ভূঁইয়াগাতি, ঘুরকা, পাঙ্গাশী ও ব্রহ্মগাছা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারের দইয়ের দোকানগুলোয় এবং ফুটপাতে বসা ভ্রাম্যমাণ দইয়ের দোকানগুলোয় মিষ্টি দইয়ের তুলনায় টক দইয়ের চাহিদা বেশি। এ দোকানগুলোয় ৭০ টাকা থেকে ৪ শত টাকায় টক দই বিক্রি হচ্ছে। আর ফুটপাতে, মান ও আকারভেদে ৫৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ দই।
জানা যায়, সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শীতের শেষে রায়গঞ্জেও বেড়েছে তাপমাত্রা। সাথে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। ফলে বেড়ে গিয়েছে এ দইয়ের চাহিদা। উপজেলার চান্দাইকোনা বাজারের জবা ও জমজম দই ঘরের কর্মচারীরা বলেন, রমজানে মিষ্টি দইয়ের থেকে টক দইয়ের চাহিদা বেশি থাকে। টক দই দিয়ে তৈরি পানীয় রোজাদারদের ইফতারের প্রধান পানীয়। তাই টক দইয়ের বিক্রি এ সময় বেশি হয়। রোজার প্রথম পহরেই সব টক দই বিক্রি হয়ে যায়।