
|| শাকিবুল হাসান | রাবি প্রতিনিধি ||
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রীকে ‘ইভটিজিং’ এবং বিনা অনুমতিতে ভিডিও ধারণের অভিযোগে দুই বহিরাগত শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক দুই বহিরাগত হলেন বরেন্দ্র কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব এবং শাহ মখ্দুম কলেজের একই বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম আল হাসান।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই ছাত্রী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পার হয়ে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্ত্বরে দিকে আগালে ৩টি মোটরসাইকেল ওই ছাত্রীকে অনুসরণ করেন। এতে ওই নারী শিক্ষার্থী ভয় পেয়ে চিৎকার করেন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা কয়েকজন ওই শিক্ষার্থীকে জানায়, পেছনে থেকে একটি ছেলে আপনার ভিডিও করতেছিল। পরে তাঁরা ভিডিও ধারণকারী দুইজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ভুক্তভোগী, মোটরসাইকেল আরোহী ও অভিয্ক্তুদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। পরে মোটরসাইকেল আরোহীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করা শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইভটিজিং ও ভিডিও ধারণকারী দুজনকে মতিহার থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘আমার ক্যাম্পাসকে আমি নিজের বাড়ি মনে করি। কিন্তু আজকে ক্যাম্পাসে হাঁটার সময় দুজন ছেলে পেছন থেকে বাজেভাবে আমার ভিডিও ধারণ করেন। এতে আমি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যাই এবং এ ঘটনায় চিৎকার করে লোকজন জড়ো করি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার ঘটনায় তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভিডিও ধারণকারীদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলোতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দুইজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।