শনিবার, এপ্রিল ১৯

রাবিতে বিভিন্ন সেবা নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের পাশে ছাত্রদল-শিবির

|| শাকিবুল হাসান | রাবি প্রতিনিধি ||

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের জন্য তথ্য সেবা কেন্দ্র, বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, যাতায়াত সেবা, প্রবেশপত্র প্রিন্ট করা, অভিভাবকদের বিশ্রামাগার, খাবার, পানি ও চকোলেটসহ বিভিন্ন সেবা দিচ্ছে রাবি শাখা ছাত্রদল-ছাত্রশিবির। এতে উপকৃত হয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু-অভিভাবকরা।

আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল ) ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে ৭টি ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র ও ১টি বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র বসানো হয়েছে। সেগুলোতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাবার, পানি, কলম, শুভেচ্ছা ফুল এবং অভিভাবকদের সময় কাটানোর জন্য পত্রিকা পাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া দ্রুত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে ভর্তিচ্ছুদের বাইক সেবা দিচ্ছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে ছাত্রশিবিরও তিনটি সহায়তা কেন্দ্র থেকে ভর্তিচ্ছুদেরকে সকালের নাস্তা, পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজ, কলম, চাবির রিং, বাচ্চাদের জন্য চকোলেট, অভিভাবকদের বিশ্রামাগার, বই পড়ার জন্য বুক কর্ণার ও অনলাইন থেকে প্রবেশপত্র প্রিন্ট করাসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রশিবিরের স্বেচ্ছাসেবীরা ভর্তিচ্ছুদের সহায়তা করছে। পাশাপাশি ৮টি বাইকে ভর্তিচ্ছুদের দ্রুত সময়ে হলে এবং কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে।

জানতে চাইলে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সারাদেশে শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি পালন করছি। তারই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের বিভিন্নভাবে সহায়তা সহযোগিতা করছি।’

ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক হাফেজ মেহেদী হাসান বলেন, ‘ভর্তি উপলক্ষে যারা ক্যাম্পাসে আসছেন তারা সকলেই আমাদের মেহমান। আমাদের ক্যাম্পাসে এসে তাদের যেনো কোনোরকম ভোগান্তি না হয় সেজন্য আমরা এসব সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’

রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর এমন সহায়তায় উচ্ছাস প্রকাশ করে নাটোর থেকে আসা সবুজ সিকদার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিষয়টি আমার খুবই ভালো লেগেছে। পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে পিপাসা পেয়েছিল। একটা ডেস্কে গিয়ে ফ্রিতে পানি এবং বিস্কুট পেয়েছি। এছাড়া দেখছি ডেস্কগুলো থেকে বিভিন্নরকম সহায়তা দিচ্ছে। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়।’

কুষ্টিয়া থেকে মেয়েকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছেন রাইসুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে সকালে ক্যাম্পাসে এসেছি। মেয়েকে হলে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে এসে এখানে অপেক্ষা করছি। ছাত্ররা এসে পানি বিস্কুট দিয়ে গেল। অনেকে দেখছি পত্রিকা পড়ছে। ছাত্রদের এই কাজে দূর থেকে আসা ভর্তিচ্ছুরা অনেক উপকৃত হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *