
|| শাকিবুল হাসান | রাবি প্রতিনিধি ||
ক্যালেন্ডারে চলছে চৈত্রের শেষদিন। দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলা নববর্ষ। এ বছরের নববর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বাংলার লোকজ ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতি নিয়ে বানানো দেশের ‘সবচেয়ে বড়’ স্ক্রলচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বেলা সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে দিনব্যাপী।
প্রদর্শনীর বিষয়টি আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেছে চারুশিল্পী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক হীরা সোবহান।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক হীরা সোবহান জানান, আগামীকাল ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিনে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে অধ্যাপক হীরা সোবহানের অঙ্কিত এই স্ক্রলচিত্রটি প্রদর্শিত হবে। এ দিন বেলা সাড়ে ৯টায় প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক সোবহান বলেন, আমরা চারুশিল্পীরা রঙ ও তুলির ছোঁয়ায় ক্যানভাস রাঙিয়ে তুলি। যেখানে ফুঁটে উঠে প্রকৃতি, গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস ঐতিহ্য এবং লোকজ সংস্কৃতি। একজন চারুশিল্পী হিসেবে আমি এই বিষয়বস্তুকে দুইমাসের প্রচেষ্টায় ৩০০×২ ফিট দৈর্ঘ্যের পেইন্টিং (মিশ্রমাধ্যম) চিত্রায়িত করেছি। এই স্ক্রলচিত্রটিতে স্থান পেয়েছে দেশের গ্রাম-বাংলার হারানো লোকজ-ঐতিহ্য। আমার জানা মতে, ৩০০×২ ফিট দৈর্ঘ্যের পেইন্টিং বাংলাদেশে ইতিপূর্বে প্রদর্শিত হয়নি।
অধ্যাপক আব্দুস সোবহান আরও জানান, এ স্ক্রলচিত্রে বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসব (বাংলা নববর্ষ, নবান্ন, পৌষসংক্রান্তি), কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, লোকমেলা, লোকসংগীত, লোকসাহিত্য, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, শৈশব, মাছধরা, প্রাত্যহিক ব্যবহৃত বিষয়বস্তু প্রভৃতি জায়গা পেয়েছে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর রাবির এই অধ্যাপক বলেন, গ্রাম বাংলার ডাঙগুলি, হাডুডুসহ প্রাচীন খেলা; জাল দিয়ে মাছ ধরা, ধান ভানার মতো লোকজ ঐতিহ্য আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে একদম অচেনা। তরুণ প্রজন্ম আধুনিকতার ভীড়ে এই ঐতিহ্যগুলোকে হারাতে বসেছে। আমি আমার অঙ্কনের মাধ্যমের তাদেরকে আরও একবার আমাদের এই সুন্দর অতীকে আরও একবার মনে করিয়ে দিতে চাই।
সংবাদ সম্মেললে আরও উপস্থিত ছিলেন চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বনি আদম।