বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১

রাতভর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ

|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতভর ইসরায়েলে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধযোদ্ধা হিজবুল্লাহ। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বিভিন্ন সেনাঘাঁটি ও এগুলোর নিকটবর্তী আবাসিক এলাকাগুলো পর্যন্ত কেঁপে উঠে। তবে, এসব হামলায় হতাহতের তথ্য বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ করিনি ইসরায়েল। খবর তাসের।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) ১৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লেবানন থেকে হিজবুল্লাহর ১১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে।

আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, হিজবুল্লাহর হামলা ও হুমকি থেকে ইসরায়েল ও এর জনগণকে রক্ষা করতে সেনাবাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে হিজবুল্লাহ শুধু ইসরায়েলেই নয়, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে অনুপ্রবেশ করা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপরও সমান তালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার রাত থেকে হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবানন ও উত্তর ইসরায়েলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে তীব্র হামলা শুরু করেছে। হিজবুল্লাহর বহু ক্ষেপণাস্ত্র লেবাননের সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে গিয়ে আঘাত হানে।

এর আগে রবিবার রাতে গোলানে এক ইসরায়েলি সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হিজবুল্লাহর হামলায় ৪ সেনা নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়। হিজবুল্লাহর হামলার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের সীমান্ত এলাকা হালেট ওয়ার্দা এবং শেবা খামারের আবাসিক এলাকায় হামলা চালায়।

টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, দখলদারদের বর্বরতার দাঁতভাঙা জবাব দিতে আমরা প্রস্তত। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েল লেবাননে ‘উত্তর তীর’ নামে ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু করেছে। অভিযানের প্রধান লক্ষ্য হিজবুল্লাহ সামরিক অবকাঠামো হলেও ইসরায়েলি বাহিনী আবাসিক এলাকা ও শান্তিরক্ষীদের ক্যাম্পেও হামলা চালায়।

১ অক্টোবর রাত থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত এলাকায় স্থল অভিযান শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *