সোমবার, ডিসেম্বর ২৯

ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের রাতব্যাপী তারবিয়াত ও শব বেদারী অনুষ্ঠিত

|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরী উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত রাতব্যাপী দায়িত্বশীলদের তা’লিম-তারবিয়াত ও শব বেদারীতে আলোচকগণ বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সফলতা লাভ এবং ব্যক্তি চারিত্রের উৎকর্ষ সাধন ও আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নৈকট্য হাসিলের অন্যতম মাধ্যম নৈশ ইবাদত। বিশেষ করে শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদের নামাজ অবশ্যই পালনীয়। আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বা ইসলামী বিপ্লবে সফল হওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেক দায়িত্বশীল ও কর্মীকে ফরয বিধানাবলী যথাযথ দায়িত্বশীলতার সাথে আদায় করার পাশাপাশি সুন্নাহর উপরও পাবন্দ হতে হবে। আর সাথে সাথে উত্তম চরিত্রে চরিত্রবান হওয়ার লক্ষ্যে এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য অবশ্যই নৈশ ইবাদতও বেশি বেশি করতে হবে। বিশেষ করে নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

আলোচকবৃন্দ আরো বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাহাজ্জুদ আদায়কারীর সম্মান মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন বলে কোরআনে হাকিমে ঘোষণা দিয়েছেন। তাই এই ব্যাপারে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীকে আরো অনেক বেশি আন্তরিক ও যত্নবান হতে হবে। আল্লাহ পাক সবাইকে তৌফিক দান করুক, আমিন।

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ-এর যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে গত ২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, রাতব্যাপী বিষয়ভিত্তিক তা’লীম-তারবিয়াত ও শব বেদারী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ মহিব্বুল্লাহ ভূঞা।

অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করা হয়। “দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এসতেকামাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য” বিষয়ে আলোচনা করেন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, আন্দোলনের পরিচিতি’র উপর আলোচনা করেন, আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল জনাব মোস্তফা তারেকুল হাসান, নফল ইবাদত এবং তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ বিষয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল্লাহ নাছির, দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাহাবায়ে কেরামের ত্যাগ’ বিষয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমাদ, ইসলামী আন্দোলনে কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক’ বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ভূঞা। এছাড়াও তাহাজ্জুদ নামাজের পর যিকিরের গুরুত্ব ও ফজিলত’ বিষয়ে আলোচনা এবং যিকির পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মিজানুর রহমান আসলামী।

নেতৃবৃন্দের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর কবি মাওলানা মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম রোকন, দক্ষিণের জয়েন্ট সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা হযরত আলী, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব এফএম আলী হায়দার, দক্ষিণের অর্থ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শহীদুল ইসলাম, উত্তরের জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আবু তোহা মোহাম্মদ নুরুল্লাহ, দক্ষিণের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দিন, ঢাকা উত্তরের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদের, প্রচার সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবু বকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ ফজর নামাজের পর তারবিয়াতে অংশগ্রহণকারীদের
অভিব্যক্তি প্রকাশের পর জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল্লাহ নাছিরের হেদায়েতী এবং সমাপনী বক্তব্য ও মোনাজাতের মাধ্যমে প্রোগ্রাম সমাপ্ত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *