হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সবচেয়ে বড় জানাজা হয় তেহরানে। বুধবার (২২শে মে) রাজধানীর তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জানাজায় লাখো মানুষ অংশ নেয়। এ দিন রাইসিকে সম্মান জানাতে অংশ নিয়েছেন ৬৮ দেশের প্রতিনিধি।
আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অভ্যর্থনা জানান ইরানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মোখবার, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা। সংকটকালে ইরানের পাশে থাকায় বিদেশি রাষ্ট্রের নেতাদের ধন্যবাদ জানান তারা।
জানাজায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ইব্রাহিম রাইসির রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দক্ষতা ও বন্ধুত্বভাবাপন্ন মনোভাব স্মরণ করেন এবং নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি তেহরানে অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন। এ সময় উপস্থিত থাকাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, আজারবাইজানের প্রধানমন্ত্রী আলি আসাদভ, রাশিয়ান ডুমার চেয়ারম্যান ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ, হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নাইম কাসেম, হুথির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম, আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গান্দাব ব্র্যান্দার আখুন্দ, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুসেইন আরনাস, তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবাংগুলি বেরদিমুহামেদভ, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস বিন সাইদ, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাবিহ বেরি প্রমুখ।
ওই দিন রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের জানাজায় লাখো মানুষ কালো পোশাক পরে অংশ নিয়েছেন। জানাজা শেষে তার কফিন ছুঁয়ে শোক প্রকাশ করেছে অসংখ্য মানুষ। অনেকে তাদের রুমাল কফিনে ছুঁয়ে এ রুমালে চুমু খেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান।
গত সোমবার (২০শে মে) দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। এরপর দেশটির বিভিন্ন বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি কেউই আর বেঁচে নেই।
সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আজ বৃহস্পতিবার (২৩শে মে) রাইসিকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।