বুধবার, মার্চ ১২

যানবাহনের উচ্চমাত্রার হর্নে অতিষ্ঠ ঢাকা আলিয়ার আবাসিক শিক্ষার্থীরা

|| আরিফুল ইসলাম | ঢাকা আলিয়া প্রতিনিধি ||

রাজধানীর ঢাকার বকশিবাজারে অবস্থিত ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা। মাদ্রাসার পাশেই বকশি বাজার মোড়ে অবস্থিত ঢাকা আলিয়া মাদ্রার ছাত্রাবাস আল্লামা কাশগরী রহ. হল। ফজরের আজানের ধ্বনি কর্ণে আসার আগেই ছাত্রদের কর্ণে চলে আসে যানবাহনের হর্নের শব্দ। বকশিবাজার মোড়ে ঢাকা আলিয়ার হলে অপর পাশে অবস্থিত ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডাঃ ফজলে রাব্বী হল এবং বকশিবাজার মোড়ে অবস্থিত সরকারি বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ।
অযথা বা উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ৮৮ ধারায় বলা আছে, উচ্চমাত্রায় হর্ন বাজালে অনধিক তিন মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবে কর্তৃপক্ষ। ডিএমপির ৯ নির্দেশনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় হর্ন বাজানো যাবে না এ নির্দেশনা থাকলেও কোন গাড়ি চালক তা মানছে না।

সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার আল্লামা কাশগরী রহ. হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থী, রোকনুজ্জামান বলেন, আমার সামনে পরীক্ষা, কিন্তু এই হর্নের শব্দে আমি পড়তে বসলে বার বার মনযোগ হারিয়ে ফেলি। আমাদের হলে হর্নের শব্দ শোনা যায় সারাক্ষণ । উচ্চশব্দে পড়াশোনার পাশাপাশি নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটে, তাছাড়া পাশেই দুটি কমিউনিটি সেন্টারের বিয়ে সহ সামাজিক অনুষ্ঠানের গান-বাজনার উচ্চশব্দের কারণে আমাদের জীবন পুরাই অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। রোকনুজ্জামানের মতো এরকম অভিযোগ হলে অবস্থানরত সকল শিক্ষার্থীদের।

হল প্রসাশান বা মাদ্রাসা প্রসাশন এ বিষয় এখন পর্যন্ত কোন উদ্দ্যেগ গ্রহন করেনি। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দাবি, মাদ্রাসা ও ছাত্রাবাস এলাকাতে যেন অহেতুক হর্ন কোন গাড়ি না বাজায়। বকশিবাজার থেকে নীলাচল, মৌমিতা, ঠিকানা ও ডি-লিংক কোম্পানির বাসগুলো আজিমপুর নিউমার্কেট হয়ে সাভার যায়। হলের মূল ফটকে এসেই এই পরিবহনের বাসগুলো বিকট শব্দে হর্ন বাজায়। ঢাকায় আবাসিক এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে উচ্চমাত্রায় হর্ন অতিরিক্ত উচ্চমাত্রার কোনরুপ শব্দ সৃষ্টি বা হর্ণ বাজানো বা কোনো যন্ত্র, যন্ত্রাংশ বা হর্ণ মোটরযানে স্থাপন সংক্রান্ত ধারা ৪৫ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ডনীয় অপরাধ। বাসগুলোর অতিরক্ত যাত্রীর আশায় অহেতুক হর্ন বাজানো যেন তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকার শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের এরিয়াতে যেন অহেতুক হর্ন বাজানো বন্ধ হয় সে বিষয় হল প্রসাশন ও মাদ্রাসা প্রসাশন যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেয়। কেননা শব্দদূষণ মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অপ্রত্যাশিত বা আকস্মিক উচ্চ শব্দ মানবদেহে রক্তচাপ, হূদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়, শ্রবণশক্তি হ্রাস মাংসপেশি সংকোচন এবং পরিপাকে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *