রবিবার, জুলাই ১৩

যশোর বোর্ডে এসএসসিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা, কমেছে জিপিএ ৫

|| শেখ শাহরিয়ার | খুলনা প্রতিনিধি ||

যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ উদ্বেগজনক হারে কমেছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর পাসের হার ৭৩.৬৯ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯২.৩৩ শতাংশ। এ হিসেবে এবার পাসের হার ১৮.৬৪ শতাংশ কম। তবে এবারের ফলাফলে গড় পাশের হার ও জিপিএ ৫ এ ছেলেদের চাইতে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।

গত বছর সর্বোচ্চ ফলাফলে দেশসেরা অবস্থানে থাকলেও এবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি যশোর শিক্ষাবোর্ড।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে যশোর শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল প্রকাশের পর এসব তথ্য জানা যায়।

যশোর শিক্ষাবোর্ডের ফলাফলে এবারের এস এস সি তে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ জন শিক্ষার্থী। গত বছরে এ সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৭৬১ জন। এ হিসেবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৩৪১ জন।

যদিও যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আসমা বেগম এবারের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ বছরের ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ শতভাগ পাসের ‘আইওয়াস’ এবার নেই। যারা পাস করেছে তারা পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় পাস করেছে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে ফলাফল আরও ভালো করার জন্য বোর্ডের চলমান পদক্ষেপগুলো অব্যাহত থাকবে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যশোর শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চান।।

এসএসসি তে এবার যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগের দশটি জেলা থেকে মোট ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজার ৪৮৪ জন ও ছাত্রী ছিল ৭০ হাজার ৩৬৭ জন। পাস করেছে এক লাখ ২ হাজার ৩১৯ জন পরীক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। পাসকৃতদের মধ্যে ছাত্র ৪৬ হাজার ৫৮৭ জন ও ছাত্রী ৫৫ হাজার ৭৩২ জন। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৭ হাজার ৩৮ জন ও ছাত্রী ৮হাজার ৩৭২ জন। গড় পাসের হার ও জিপিএ ৫ এ ছেলেদের চাইতে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।

এবারের এস এস সি তে যশোর শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ১০টি জেলার মধ্যে পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে যশোর জেলা। বোর্ডের অধীনে মোট ৩৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। তবে, দুটি বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি বলে ফলাফলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *