
|| ডা. আনোয়ার সাদাত ||
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জাহেলী বা অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে মানবতার মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন এবং প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ইতিহাসের স্বর্ণযুগ। প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ন্যায়, ইনসাফ, সাম্য, সুবিচার, বৈষম্যমুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা ও জীবনযাত্রা আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র জীবন বিধান আল কুরআনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিচ্ছবি। ইসলামের প্রত্যেকটি বিধি-বিধান অনুসরণের মাধ্যমে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, যা সর্বকালে সর্ব যুগে সকল মানুষের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়।
পবিত্র কালামে মজিদে এরশাদ হচ্ছে, “নিশ্চয়ই তোমাদের সকলের জন্য রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে, যারা আল্লাহ, পরকালীন জীবনে বিশ্বাস এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে থাকে। “(সূরা আহযাব ২১)।
রাসুলে করীম (সা.) সারা জীবন ধরে পবিত্র কুরআনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করে গেছেন। তার প্রদর্শিত পথ সকল শ্রেণির মানুষের জন্য হিদায়াত। তিনি যে জীবন-বিধান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, তা পরিপূর্ণ জীবন-বিধান। যেখানে মানুষের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, রাজনীতি সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, যুদ্ধ সন্ধি আন্তর্জাতিক সকল বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বর্ণিত রয়েছে।
মহানবীর (সা.) আদর্শ বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।
বর্তমানে বিভিন্ন মতবাদ আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষ শান্তি খুঁজছে; কিন্তু কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। আরো দিন দিন অশান্ত ও অশান্তিই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দেখানো পথেই একমাত্র ক্ষমা, ভালোবাসা, ন্যায়বিচার, সাম্য, সততা ও সহনশীলতা চর্চার মাধ্যমে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-সম্প্রীতি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তাই আসুন, মহানবী (সা.)-এর সর্বোত্তম আদর্শ অনুসরণ, অনুকরণ, চর্চা ও সমাজে বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সুন্দর শান্তিপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি।
লেখক: ইসলামিক স্কলার, সাংবাদিক ও চিকিৎসক (খুলনা)।