শনিবার, অক্টোবর ১১

মদ বিক্রি না করায় টঙ্গীর জাবান হোটেলে ভাংচুরের অভিযোগ

|| টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি ||

টঙ্গীর একমাত্র ৩ তারকা খচিত হোটেল জাবানে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর ভোর বেলায় মদ বিক্রি না করায় হোটেলের কর্মচারী ও সিকিউরিটি গার্ডকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, টঙ্গী স্টেশন রোডে আমতলায় অবস্থিত জাবান হোটেলে দেশ বিদেশের বিভিন্ন নামি-দামি বায়ার অবস্থানের কারণে সরকারের রেভিনিউ বাড়ছে। পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

গত বৃহষ্পতিবার (২৮ আগস্ট) ভোর আনুমানিক ৫ টার দিকে এই হোটেলের কর্মচারীদেরকে মারধর ও ক্যাশ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

হোটেল কর্তৃপক্ষ জানান, উত্তরা থেকে ৬ জন পুরুষ ও একজন নারী বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর রাতে তাদের হোটেলে এসে এলোমেলো কথা বলতে থাকে। এ সময় তারা নাস্তা খাওয়ার কথা বলে হোটেলের ১০ তলা রেস্টুরেন্টে উঠে যায়। সেখান থেকে তারা ৯ তলার বার কাউন্টারে জোরপূর্বক ঢুকে গিয়ে ১ বোতল বিদেশি হুসকি মদ চায়, হোটেল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের পর মদ এবং ৬ জন পুরুষের সাথে একই রুমে ১জন নারীকে নিয়ে অবস্থানের অস্বীকৃতি জানান। এরপর পরই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ম্যানেজার আজিজ ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেদম মারধর করে ক্যাশ থেকে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এঘটনায় জাবান হোটেলের আইটি ম্যানেজার মোঃ রাকিব হাসান বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আজাদ (২৯)পিতা : মোখলেস মিয়া,সাং চিলাউড়া, থানা :
জগন্নাথপুর জেলা : সুনামগঞ্জ। বর্তমান, সাং -শান্তিবাগ থানা : রামপুরা।
মোঃ রিমন (৩৮),জাহিদ (৩২), সুব্রত (৩০) রোজা (২৫) সর্ব পিতা অজ্ঞাত, থানা- সুনামগঞ্জ, জেলা সিলেট ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনের নামে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, জাবান হোটেলের ম্যানেজার ও কর্মচারীদের মারধর করে ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়া লোক গুলো সিলেটের বাসিন্দা। তারা প্রায়ই গুলশান, বনানী ও উত্তরার বিভিন্ন মদের বারগুলোতে নিয়মিত আসা যাওয়া করে। ঐ সব বারে গিয়ে তারা প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত মদ পান করে। রাতের বেলায় বারের পাশাপাশি প্রায় সময় রাস্তায়ও মাতালামি করে। এ ছাড়াও তারা রাত বিরাতে এ দিক সেদিন ঘুরে বেড়ায় এবং কারণে অকারণে মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ রিমনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঐদিন তারা কয়েকজন সকালের নাশতা খাওয়ার জন্য টঙ্গীর জাবান হোটেলে যায়। ঔ হোটেলে আর কখনো নাস্তা খেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩/৪বছর আগে একবার খেয়েছিলেন।

নাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জাবান হোটেলের পরিচালক সায়মন বলেন, এখানকার রেস্টুরেন্টে কোন নাস্তা বিক্রি করা হয় না। তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসেছে, হোটেল স্টাফদের মারধর করে হোটেলের রিপিটেশন খারাপ করতে ভোর রাতে এসেছে।

ঐ এলাকার জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যেই হোটেলে নাস্তা বিক্রি করা হয় না, সেখানে কেন কি উদ্দেশ্য তারা নাস্তা খেতে গেলেন। ৯ তলা থেকে
টাকা ছিঁনিয়ে নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে মোঃ রিমন বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী টাকা ছিঁনিয়ে নিবো কেন? তিনি আরো বলেন, তারাও টঙ্গী পূর্বথানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *