নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ ধরনের ডিভাইস চালু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ভোটের দিন এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় গেলে ওই যন্ত্র তাকে শনাক্ত করবে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিষয়ে আলাপকালে র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, এক এলাকার মানুষ যাতে অন্য এলাকায় ভোট দিতে বা নাশকতা ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে র্যাব তৎপর থাকবে। যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়া এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় যেতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নেওয়া ব্যক্তিরাই শুধু মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ কিছু দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার রয়েছে ভোট দেওয়া কিংবা না দেওয়া। কিন্তু তারা যদি ভোট দিতে বাধা বা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন, সেটা হবে সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক। যারা এই বেআইনি কাজ করবেন, তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে গত নির্বাচনের পর ক্যাপিটল বিল্ডিং হামলা হয়েছে, ভারতেও নির্বাচনের সময় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সহিংসতা হয়, লোক মারাও যায়।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের তুলনায় এবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, র্যাব নির্বাচনে তিনটি পর্যায়ে (ফেজ) দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাচন–পূর্ববর্তী পর্যায় আজ শেষ হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামীকাল ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নিরাপদে ভোট দিয়ে মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা। তৃতীয় পর্যায় হলো নির্বাচন–পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। অনেক সময় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, সহিংসতা হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব।