
|| মোঃ আজিজুল হক | ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ||
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে সম্প্রতি চুরির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। গত কয়েক মাসে একের পর এক চুরির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, গভীর রাতে বসতবাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র, এমনকি গবাদিপশু পর্যন্ত চুরি হচ্ছে। রাত নামলেই এলাকায় নেমে আসে চোর আতঙ্ক।
সম্প্রতি মেছবাহুল আলমের একটি গরু, সেচ পাম্প ও বাইসাইকেল, বাদশা মিয়ার বাড়ি থেকে রাইস কুকার ও ফ্যান, মুক্তার আলীর ছাগল এবং ছাত্তার আলীর পানির মোটর চুরি যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদশা মিয়ার চুরি হওয়া রাইস কুকারটি প্রতিবেশী আবুবকর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আবুবকর জানান, তিনি রাইস কুকারটি একই এলাকার আমিনুর রহমানের মাদকাসক্ত ছেলে সজিব মিয়ার কাছ থেকে কিনেছেন। পরে উদ্ধারকৃত জিনিসগুলো সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।
গত ১৮ অক্টোবর (শনিবার) রাতে পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকারের উপস্থিতিতে এক সালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি জানান, বৈঠকে সজিব মিয়া চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে বৈঠকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় কোনো মীমাংসা টানা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী ২৪ ও ২৬ অক্টোবর নতুন তারিখে সালিশ নির্ধারণ করা হলেও রহস্যজনক কারণে বৈঠক দুটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, বারবার চুরির ঘটনা ঘটলেও দোষীদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর আইনি ব্যবস্থা বা স্থানীয় পর্যায়ের বিচার হয়নি। এতে সংঘবদ্ধ চোরচক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, “দ্রুত এই সংঘবদ্ধ চোরদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে গ্রামের মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে।”
এ বিষয়ে জানতে পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
