মঙ্গলবার, জুন ১৭

ভূরুঙ্গামারীতে শিক্ষা অফিসার না থাকায় ভোগান্তিতে শিক্ষকরা

|| আজিজুল হক | ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ||

ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা মাধ্যমিক ও সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষকরা। তদারকী না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানে নিজেদের ইচ্ছামত ক্লাস শুরু ও শিক্ষার্থীদের ছুটি প্রদান করা হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রায় ৬ মাস আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান বদলী নিয়ে অন্য উপজেলায় চলে যান। তার আগে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদ হোসেন বদলী নেন।
পার্শ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল হাসানকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হলেও তিনি কোন সপ্তাহে ১ দিন আসেন আবার কোন সপ্তাহে আসেন না।

উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও তিলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় এবং বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত পরিদর্শন না করায় উপজেলার মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তিনি জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামান্য কাজের জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারের মাসে কমপক্ষে ১০টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের নিয়ম থাকলেও আমার বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ বছর থেকে কোন পরিদর্শন হয়নি। নিয়মিত পরিদর্শন না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান ২/৩ টার মধ্যে ছুটি হয়ে যাচ্ছে।
সোনাহাট কলেজের অধ্যক্ষ ও সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের সভাপতি বাবুল আক্তার জানান, এক কথায় বলা যায় মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দার প্রান্তে। এজন্য তিনি দ্রুত অফিসার নিয়োগের দাবী করেন।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সাইফুর রহমান জানান, অফিসার না থাকায় তাকেই অফিসের সকল কাজকর্ম করতে হয়। অফিসের কাজকর্ম করে বিদ্যালয় পরিদর্শন সম্ভব হয় না। তিনি জানান, উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়-৩৫টি, মাদরাসা-১৯টি, টেকনিক্যাল কলেজ ৬টি এবং কলেজ রয়েছে ৫টি। অফিসে কোন যানবাহন নেই, যাতায়তের কোন ভাতা নেই, বেতনও নিয়মিত পাই না। তাহলে এতগুলো প্রতিষ্ঠান কিভাবে তদারকী করা সম্ভব? এ প্রশ্ন করেন তিনি।

নাগেশ্বরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, আমি বড় একটি উপজেলার দায়িত্বে রয়েছি। ওই দায়িত্ব পালন করে প্রতিদিন এখানে আসা সম্ভব নয়। একাডেমিক সুপারভাইজারের দ্বারা গুরত্বপূর্ণ কাজগুলো করে নেয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় ওই দপ্তরের আমি কোন ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। জেলায় বারবার বলার পরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলমের সাথে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *