শনিবার, ডিসেম্বর ৬

ব্রাকসু নির্বাচন: ডোপ টেস্ট বাতিল চেয়ে আবেদনে নকল স্বাক্ষর, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

|| কামরুল হাসান কাব্য | বেরোবি প্রতিনিধি ||

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্সের বাধ্যবাধকতা বাতিলের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী।

তবে আবেদনে ২২ জনের মধ্যে আশিকুর রহমান, শামসুর রহমান সুমন, আরমান হোসেন ও রহমত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান—তারা ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেননি। এমনকি আবেদনে চারজনের নামেও গরমিল পাওয়া গেছে।

তারা জানান, এ ব্যাপারে তাদের কিছু জানানো হয়নি। তারা কেউ স্বাক্ষর করেনি। 

আবেদন করা বাকিরা হলেন- নয়ন মিয়া, মাইদুল ইসলাম, মেহেমুদ, সোহাগ, রতন মিয়া, ইল্লাল, সোলাইমান, মেহেদী, বায়জিদ শিকদার, ইমরান খান, মুয়াজ, বাইজিদ রশিদ, শিবলি সাদিক, রবিউল ইসলাম নেজাজ, মুশকিকুর, বাইজিদ বোস্তামী ও রাব্বি হাসান।

আবেদনে স্বাক্ষর করা মুয়াজ জানান, এত কম সময়ে ডোপ টেস্ট করা এবং টাকা জোগাড় করার অনেকের জন্য কষ্টকর।

বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।

৩ ডিসেম্বর আবেদনটি করা হলেও ৫ ডিসেম্বর রাতে এটি প্রতিবেদকের হাতে আসে। 

ব্রাকসু নির্বাচনী নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি প্রার্থীকে ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করা এবং হলে থাকা সব বকেয়া পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। তবে আবেদনকারীদের দাবি—অত্যন্ত স্বল্প সময়ে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করা কঠিন।

আবেদনে বলা হয়, চলমান ব্রাকসু নির্বাচনে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাবদ ব্যয় একজন শিক্ষার্থীর জন্য স্বল্প সময়ে বহন করা সম্ভব নয়। 

শিক্ষার্থীরা জানান, নীতিমালায় আগেই স্পষ্টভাবে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক উল্লেখ ছিল। তাহলে এখন কেন এ দুটি শর্ত এড়িয়ে যেতে চাইছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা? তারা কি এসবের সঙ্গে জড়িত।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বারবার ভোটার তালিকা সংশোধন করা হলেও ত্রুটি রয়ে যাচ্ছে। এমন তালিকা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়েও তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন আকন্দ বলেন, “আমরা চাই অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচনী নীতিমালা ও প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। কিন্তু কিছু সম্ভাব্য প্রার্থী হঠাৎ ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাতিলের দাবি তুলছেন। এতে তো সন্দেহ জাগে—তারা কি মাদকাসক্ত কিনা?”

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে সহকারী নির্বাচন কমিশনার আমির শরিফ বলেন, “আমি একটি আবেদন দেখেছি। যে কেউ আপিল করতে পারে, সেটা কমিশন বিবেচনা করবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *