|| নিউজ ডেস্ক ||
পাইকারি পর্যায়ে কেজি প্রতি আলুর দাম ৪৫ টাকা নির্ধারণ করছে সরকার। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির দায়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি আলুর আড়তদার ৩ ব্যবসায়িকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় আলুর বাজারে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
অভিযানকালে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৬২ থেকে ৬৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। পাইকারি আলুর আড়তদার ব্যবসায়িদের ক্রয় ও বিক্রয় রশিদ দেখতে চান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এসময় আড়ত ব্যবসায়িদের ক্রয় ও বিক্রয় রশিদ না থাকা ও ব্যবসায়িদের কথা মতন অলুর ক্রয়মূল্যের সাথে বিক্রয় মূল্যের অসামঞ্জস্য থাকায় তিনজন আলুর আড়তদার ব্যবসায়িকে ১৫ হাজার করে মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
একই সঙ্গে দোকানিদের এখন থেকে আইন মানার শর্তে ক্ষমা ও যৌক্তিক মূল্যে স্বল্প লাভে জনসাধারণের কাছে বিক্রির নির্দেশনা দেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
অভিযান শেষে আব্দুল জব্বার মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার নির্ধারিত যে দাম সেই দামের অতিরিক্ত আলু বিক্রি করছে তারা । আসলে নিয়মটা এমন কিনা যে তারা বেশি দামে কিনে এনেছেন তাই বিক্রি করছেন নাকি নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা যদি ৫৮ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি করেন তাহলেও তাদের একটা যৌক্তিক লাভ থাকবে। কিন্তু তারা অযৌক্তিকভাবে সেই ৫৮ টাকার আলু বিক্রি করছেন ৬৩ টাকা। যদিও সরকারের বেঁধে দেয়া দাম হচ্ছে ৪৫ টাকা। আসলে ৪৫ টাকা কেজি দরেই বিক্রি করার কথা ছিল কিন্তু তাদের কেনা যেহেতু একটু বেশি দামে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তারা। কিন্তু কোন রেটে (দামে) তারা কিনেছেন সেই তথ্য দিতে পারেননি।
আমরা চেষ্টা করছি কারা এই কারসাজি করে মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কাজ করছেন, কারা এর পেছনে জড়িত তাদেরকে খুজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদফতর কর্মকর্তা।