
|| আল-আমিন হোসেন | স্টাফ রিপোর্টার (সিরাজগঞ্জ) ||
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দমেলাকে ঘিরে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন স্থানে প্রচার করা হচ্ছে যে, মেলায় অবৈধ লটারি কিংবা অশ্লীল কার্যক্রম চলছে। তবে আয়োজক কমিটি এসব অভিযোগকে গুজব, মিথ্যা ও বানোয়াট বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, মেলাটি কেবলমাত্র স্থানীয় জনগণের বিনোদন, সাংস্কৃতিক চর্চা ও পারিবারিক আনন্দের জন্য আয়োজন করা হয়েছে। এখানে কোনো অসামাজিক, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম চলছে না। বরং প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে মেলা একটি নিরাপদ ও পরিবারবান্ধব পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মেলা প্রকম্পিত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বইমেলা, শিশুদের খেলার সামগ্রী, খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলা প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
প্রবেশ ফি প্রসঙ্গে মেলা পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে, দর্শনার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে প্রতীকীভাবে ২০ টাকা মূল্যের টিকিট রাখা হয়েছে। এই অর্থ থেকে দর্শনার্থীদের মধ্যেই পুরস্কার প্রদান করা হয়। অথচ এটিকে “লটারি” বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা কোনো ধরনের অশ্লীলতা, জুয়া বা অবৈধ কার্যক্রম মেলায় স্থান দিইনি। প্রশাসনের দেওয়া সব শর্ত কঠোরভাবে মেনে মেলাটি পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিদিন রাত ১০টার মধ্যেই মেলা বন্ধ করা হয়।”
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, আনন্দমেলাটি এলাকার মানুষকে একত্রিত করছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষ নিরাপদে সময় কাটাচ্ছেন এবং শিশু-কিশোররা দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারছে।
দর্শনার্থী কামাল আহমেদ বলেন,
“এটি একটি পরিবারবান্ধব পরিবেশ। এখানে কোনো অশ্লীলতা নেই। বরং সবাই আনন্দ করছে। অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।”
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বেলকুচি প্রেসক্লাবের আয়োজনে আনন্দমেলাটি শুধু বিনোদনের নয়, বরং সংস্কৃতি চর্চা ও সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি সফল আয়োজন। তাই অপপ্রচার না চালিয়ে সবাইকে মেলাকে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা।