
|| আল-আমিন হোসেন | স্টাফ রিপোর্টার ||
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ক্ষিদ্র জোকনালা গ্রামে এক প্রতিবন্ধী পরিবারের পৈত্রিক ক্রয়কৃত বসত ভিটার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনার জন্য জমির মালিক জামাল উদ্দিন মন্ডল (৪৫) পিতা-মৃত শিতল মন্ডল ও আরেক জমির মালিক ওসমান গনি আকন্দ, পিতা শুকুর আলী আকন্দ কোর্টে মামলা করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধীর স্ত্রী বলেন, আমার বসতবাড়ির ঘর ভেঙে এবং হুমকি দিয়ে জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণ করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ। গত ৫ আগস্টের আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ক্ষিদ্র জোকনালার বর্তমান মেম্বার গোলাম নবী (৪৫), পিতা- মৃত জোনাব আকন্দ, টাকা খেয়ে এবং সহকারি জজ সাব্বির হোসেন (৪৪) পিতা সাইদ মন্ডল এর ক্ষমতা দেখিয়ে একক বাড়ির জন্য ১০ ফিট পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আমরা নিতান্তই গরীব মানুষ সংসারের প্রয়োজনে আমি দীর্ঘদিন যাবত ঢাকায় চাকরি করি। বাড়িতে আমার প্রতিবন্ধী স্বামী এবং তিন প্রতিবন্ধী ছেলে থাকে। এলাকার বাহিরে থাকায় দীর্ঘদিন যাবত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের সহযোগিতায় আমাদের বসতবাড়ি ঘর ভেঙে খাস জায়গার কথা বলে আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে সম্পূর্ণ রাস্তা নেয়।একটি বাড়ির জন্য এ রাস্তা আমরা দেবো না, যদি রাস্তা নিতে হয় আমাদের জীবনের উপর দিয়ে নিতে হবে।
প্রতিবেশী শাহ আলম (৪৮) পিতা-মৃত এনসাব আলী মন্ডলের বাড়ির রাস্তা নির্মাণে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেম্বার গোলাম নবী এবং সহকারী জজ সাব্বির মন্ডল।
অভিযুক্ত গোলাম নবী মেম্বারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পিআইও অফিস অনুমোদন দেওয়ার পর আমি রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করি এবং পরে ১৪৪,১৪৫ ধারা জারি হলে আমি কাজ বন্ধ করে দেই।
এ বিষয়ে উপজেলা আইসিটি অফিসার ও ৩ নং ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ঈমান আলী বলেন, রাস্তা সম্পর্কে আমরা শুনেছি ১৪৪,১৪৫ ধারায় মামলা হয়েছে। কিন্তু অফিসিয়াল ভাবে এখনও কোনো চিঠি পাইনি। পেলে কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উক্ত প্রকল্পের চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম তুহিন বলেন, রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, স্হানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা চলছে, আশা করছি বিষয়টি দ্রুত মিমাংসা করে রাস্তা নির্মাণ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন জানান দুই পক্ষ আইনের আশ্রয় নিয়েছে কোর্ট যে সিদ্ধান্ত নেয় সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।