
|| আল-আমিন হোসেন | স্টাফ রিপোর্টার ||
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১৪৯নং মুলকান্দি বারপাখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের ঘর-সহ সমস্ত আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয় ঘরের ভিতর থেকে আগুনের ধোয়া বের হতে দেখে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে দেখতে পায় বিদ্যালয়ের টিনের ঘরের ভিতর আগুন লেগেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন পানি বালি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে আনলেও বিদ্যালয়ে থাকা টেবিল চেয়ার শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ ঘরসহ সব কিছু পুড়ে যায়। রমজানের ছুটিতে বিদ্যালয় সরকারীভাবে বন্ধ থাকায় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন না।
প্রধান শিক্ষক ঘটনাটি সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানায় বলে জানা যায়।
প্রধান শিক্ষক মোছা: রেহানা খাতুন (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, রমজানের ছুটির কারণে বন্ধ ছিল বিদ্যালয়। বুধবার সকাল সারে ১০টায় আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষক হযরত আলীর মাধ্যমে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিষয়টি আমি আমার বেলকুচি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানাই।
তবে বিদ্যুৎ এর শর্ট সার্কিটে আগুন লেগেছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
স্থানীয়রা বলেন, সকাল ১০টার দিকে স্কুলের ভিতর থেকে আগুনের ধোয়া বের হতে দেখে ডাকাডাকি করে, লোকজন নিয়ে দেখি স্কুল ঘরে আগুন লেগেছে। এলাকার সবাই মিলে পানি বালু ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে তাদের ধারণা বিদ্যুতের শর্টসার্কিটেই আগুন লেগেছে বলে তারা জানান।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বারপাখিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দুইবার নদী ভাঙ্গনের পর টিনের ঘর তুলে সেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিয়ে আসছিল, গত বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পারলাম সম্ভবত বিদ্যুৎ শর্টসার্কিটে আগুন লেগে বিদ্যালয়ের ঘরসহ চেয়ার টেবিল শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ পুড়ে গেছে। আমি মোবাইল ভিডিওর মাধ্যমে দেখে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ শিক্ষা অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। ২/১ দিনের মধ্যে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করবো।