
|| মোহাম্মদ রাজিবুল হাসান | নিজস্ব প্রতিনিধি | বিনোদন ডেস্ক ||
১৩ ডিসেম্বর শনিবার ২০২৫, ছায়ানট মিলনায়তন ছিলো আনন্দ-মুখর। হল ভর্তি দর্শকের উচ্ছ্বাসিত অপেক্ষা, এ যেনো বহু যুগের প্রতীক্ষিত উচ্ছ্বাস। আর কেনোই বা হবে না; দেশ বরেণ্য তথা উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত ব্যক্তিত্ব সর্বজন শ্রদ্ধেয় খায়রুল আনাম শাকিলের সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অরুণরঞ্জনী সাথে খায়রুল আনাম শাকিলের ছাত্র-ছাত্রীরা এক আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ আয়োজন থেকে বাদ পড়েনি তাঁর সহকর্মীবৃন্দও।

তিনি শুধু একজন সংগীতশিল্পী নন, দক্ষ প্রশিক্ষক, সংগঠক এবং সকল ভূমিকায় তিনি সফল একজন মানুষ। খুব কম শিল্পীই এমন মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছেন। সব কিছু মিলিয়ে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হলো খায়রুল আনাম শাকিলের ৫০ বছরের বর্ণাঢ্য সংগীত-ব্যপ্তি। এতে যে আলো তিনি ছড়িয়েছেন তাতে আলোকিত ও সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সংগীত ও বিশুদ্ধ সংস্কৃতি। শুধু ঢাকা নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছেন এই সংগীতের আলোর মশাল। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শুদ্ধ বাণী ও সুর বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘নজরুলসংগীত সংস্থা’।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডা. সারওয়ার আলী, মফিদুল হক, সুলতানা কামাল এবং মাহমুদুর রহমান বেণু।
এই অনুষ্ঠানে খায়রুল আনাম শাকিল তার পছন্দের ১৫ টি গান গেয়ে শোনান। যার মধ্যে এ নহে বিলাস বন্ধু, পাষাণের ভাঙালে ঘুম, হে প্রিয় আমারে দিব না ভুলিতে, আবার ভালোবাসার সাধ জাগে, কেন আন ফুল-ডোর, সেদিনের সোনা ঝরা সন্ধ্যা, সোনার হাতে সোনার কাঁকন, মম মনের বিজনে, পথ হারাবো বলে ইত্যাদি। শুরুতে খায়রুল আনামের ছাত্র-ছাত্রীরা “একি অপরূপ রুপে মা তোমায় হেরিনু পল্লিজননী” এই সমবেত সংগীতটি পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের সংগীত জীবন নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ত্রপা মজুমদার। সহযোগিতায় ছিলেন এনিগমা টিভি।
আলোকিত দৈনিকের পক্ষ থেকে এই দেশ বরেণ্য সংগীত সাধককে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা।
