শুক্রবার, জুলাই ২৫

বিএনপির ১৬ বছর আন্দোলনের ফসল ৩৬ জুলাই: তুহিন

|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||

খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ২৪ দিয়ে ৭১-কে মুছে ফেলতে চাইছে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের জন্মশত্রুরা তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ও ৩০ লাখ শহীদের স্বপ্ন, আদর্শ, চেতনাকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের জন্মশত্রুদের ব্যাপারে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

মহানগরীর ৩০নং ওয়ার্ডের বিশিষ্টজনদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তুহিন বলেন, ৫ আগস্টের রক্তাক্ত বিপ্লবের পর দেশের অতীত ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে। বলা হয়েছে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আসলে আমরা স্বাধীনতা ফেরত পেয়েছি। প্রকৃত স্বাধীনতা আমরা ৭১ সালেই অর্জন করেছি। মূলত ৭১-এর পরাজিত শত্রুরাই দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। ৭১ আর ২৪ এক বিষয় নয়। বরং এসব বলে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত লাখো শহীদ এবং যাদের সম্ভ্রমহানি হয়েছে তাদের অসম্মান করা হয়েছে।

মীর কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি আরো বলেন, ৭১-সালের পরাজিত শক্তিরা বলছেন জুলাই বিপ্লব তারাই করেছেন। আর কেউ ছিল না। দেশের মানুষ জানেন কারা অভ্যূত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল ৩৬ জুলাই। ৩৬ জুলাই-এ বিএনপি ও ছাত্রদল মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল। আজ এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছি, যখন ধর্মের নামে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে একটি বিশেষ দল নানাভাবে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তারা কথিত জান্নাতের টিকিট বিলি করে বেড়াচ্ছে— অথচ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই দল ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী।

তিনি আরও বলেন, ধর্মের অপব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার দিন শেষ। দেশের জনগণ এখন সচেতন-তারা বুঝে ফেলেছে কে প্রকৃত দেশপ্রেমিক, আর কে ধর্মের মুখোশ পরে রাজনৈতিক ব্যবসা করে। তারা নিজেদের ‘বিপ্লবী’ রূপে উপস্থাপন করতে চায়, কিন্তু তাদের অতীত ইতিহাস আজও জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। যারা কোরআন-হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রেহেনা ঈসা, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আমিন হোসেন, সওগাতুল ইসলাম সগীর, ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলর মোল্লা মারুফ রশিদ, মাষ্টার মজিবর রহমান প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *