
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনীতিতে নতুন এক মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান পদত্যাগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেছেন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দলটিতে যোগ দেন।
গুলশানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন রাশেদ খান। যোগদান অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ঘোষণা করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার আংশিক) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির হয়ে লড়বেন মো. রাশেদ খান। তিনি দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভেদাভেদ ভুলে রাশেদ খানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন। মূলত তারুণ্যের নেতৃত্বকে প্রধান্য দিয়ে এবং দীর্ঘদিনের আন্দোলনের রাজপথের সহযোদ্ধাকে মূল্যায়ন করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এদিকে, মো. রাশেদ খানের এই পদক্ষেপকে গণ অধিকার পরিষদ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী কৌশল ও বৃহত্তর ঐক্য বজায় রাখতেই রাশেদ খানকে বিএনপিতে যোগদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে এক বার্তায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জানান, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তারা রাজপথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছেন। রাষ্ট্র সংস্কারের সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবং দেশ গড়ার বৃহত্তর স্বার্থে যারা আন্দোলনে এক ছিল, তারা একসঙ্গেই নির্বাচন করবে। এই নির্বাচনী সমঝোতা ভবিষ্যতে একটি জাতীয় সরকার গঠনের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাশেদ খানের এই যোগদানের ফলে ঝিনাইদহ-৪ আসনের রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন আমেজ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিনের মিত্র শক্তির এমন সরাসরি অন্তর্ভুক্তি রাজপথের বিরোধী শক্তিকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন সাধারণ নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে রাশেদ খান তার ওপর আস্থা রাখার জন্য বিএনপি নেতৃত্ব ও গণ অধিকার পরিষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
