বরগুনার আমতলীতে লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে একই পরিবারের সাতজনসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে এক বৌভাত অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের পরিবারকে বহনকারী মাইক্রোবাস ঘটনাস্থলে লোহার সেতু ভেঙে পানিতে ডুবে যায়। এতে ৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৭জনই একই পরিবারের।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুর শিবচরের ভদ্রাসন গ্রামের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী (৪০) এবং তার দুই মেয়ে তাহিদা (০৭) ও তাসদিয়া (১১), ব্যাংক কর্মকর্তার বোন একই এলাকার মৃত ফকরুল আহম্মেদের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), নিহত ফরিদা বেগমের ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি আক্তার (৩০), ব্যাংক কর্মকর্তার ভাই বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০) ও রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমি বেগম (৪৫)।

জানা যায়, বরগুনার আমতলীর কাউনিয়ার মনিরুল ইসলামের মেয়ে হুমায়রার সঙ্গে একই এলাকার সেলিম ইসলামের ছেলে সোহাগের বিয়ে শুক্রবার দুপুরে সম্পন্ন হয়। শনিবার দুপুরে কনেপক্ষ আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বরের বাড়িতে যাওয়ার সময় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে বরগুনার আমতলীতে বোনের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসনের গ্রামের বাড়িতে যান ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। পরে পরিবারের আরও সদস্যসহ বিয়ের অনুষ্ঠানে বরগুনা যান আবুল কালাম আজাদ (কালাম মাদবর)।
মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী এবং দুই মেয়ে তাহিদা ও তাসদিয়া। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় ব্যাংক কর্মকর্তার বোন, ভাবিসহ পরিবারের ৭ জনকে। এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।
আরও জানা যায়, নিহত ৯ জনের মধ্যে ৭ জনের মরদেহ মাদারীপুরে দাফন হয়েছে। রবিবার (২৩ জুন) সকালে মাদারীপুরের শিবচরের ভদ্রাসনে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে রাত তিনটার দিকে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়, স্বজন ও প্রতিবেশীরা।