শনিবার, এপ্রিল ১৯

বগুড়ায় লাল কাপড়ে ঢেকে দিল পলিটেকনিকের মূল ফটকের নাম

|| মোস্তফা আল মাসুদ | জেলা প্রতিনিধি (বগুড়া) ||

ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদে নিয়োগ বাতিলসহ ছয় দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বগুড়ার পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে শনিবার (১৯ এপ্রিল) ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের নাম লাল কাপড়ে ঢেকে দেন।

এদিন বেলা ১২টার দিকে ক্যাম্পাস চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ইনস্টিটিউট গেইটে গিয়ে শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য মূল ফটকের নাম ঢেকে রাখা হবে।

একই দিনে শহরের নওদাপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে টিএমএসএস টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও। তারাও একই দাবিতে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে।

এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে শুরু হয়ে কলোনী এলাকা প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীরা গেইটের সামনে রাস্তার ওপর সমাবেশ করেন। সেখানে তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিক্ষার্থীরা পলিটেকনিকের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন এবং তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। তারা জানান, “কেন্দ্রে সংলাপ হলেও আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি। কোয়ার্টারে অবস্থানরত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোয়ার্টার ছাড়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।”

এর আগের দিন, বুধবার (১৬ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা শহরের বনানী মোড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় পৌনে ৩টা পর্যন্ত টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে বগুড়া সরকারি পলিটেকনিকসহ পাঁচটি বেসরকারি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

বিকেলে ঢাকা ও কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে বগুড়া পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে মশাল মিছিলও করে তারা।

এরও আগে, ১৫ এপ্রিল শহরের সাতমাথায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহার, নিয়োগবিধি সংশোধন, শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বয়সসীমা নির্ধারণ, আলাদা ‘কারিগরি ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়’ গঠন এবং উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চলবে এবং প্রয়োজন হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *