শনিবার, আগস্ট ২৩

ফুলবাড়ীতে পুকুরে ফেলে শিশু হত্যার চেষ্টায় পাষণ্ড সৎ বাবা আটক

|| জাকারিয়া শেখ | ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ||

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় এক নিষ্পাপ ৬ বছর বয়সী শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তার পাষণ্ড সৎ বাবা আটক হয়েছেন। স্থানীয় এক পথচারীর সাহসী উদ্যোগে প্রাণে বেঁচে যাওয়ার পর শিশুটি নিরাপদে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে শনিবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সৎ বাবা মুরাদুজ্জামান (৩৯) সারাদিন তাকে সাইকেলে করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরান। রাতের অন্ধকারে পুকুরের কাছে পৌঁছানোর পর শিশু তাসিন (৬) কে জোরপূর্বক পানিতে ঠেলে দেন। শিশুটি পানিতে হাবুডুবুড়ি খেতে খেতে বাঁচার জন্য তৎপর চেষ্টা চালায়।

ফুলবাড়ীতে পুকুরে ফেলে শিশু হত্যার চেষ্টায় পাষণ্ড সৎ বাবা আটক
সৎ বাবার হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়া শিশু তাসিন

সেদিন ফুলবাড়ী থেকে বালারহাটগামী এক পথচারীর লাইটের আলোয় শিশুটির বিপদজনক অবস্থান নজরে পড়ে। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় ফুলবাড়ী থানা পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করেন।

শিশুটি জীবিত ফিরে আসায় তার মা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং আশপাশের সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দোষীকে দ্রুত ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

অপরদিকে, লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় সৎ বাবা মুরাদুজ্জামানকে ফুলবাড়ী-লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাম্পত্য কলহের জেরে এ অপরাধের কথা স্বীকার করেন।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুর নবী বলেন, “শিশু হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার মুরাদুজ্জামানকে আমরা ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করেছি। তারা তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম জানান, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। এ ঘটনায়”শিশুটির মা, ভাই ও নানিসহ পরিবারের সদস্যদের থানায় উপস্থিতে মামলা দায়েরসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *