
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
কথায় আছে, প্রেমের কোনো জাত-ধর্ম নেই, নেই কনো সীমানা প্রাচীর। শুধু কথায় নয় বাংলাদেশী তরুণীর প্রেমের টানে সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক ছুটে এসেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। এই উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের তরুণী মল্লিকাকে বিয়েও করেছেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে মল্লিকার বাড়িতে ভির করছে স্হানীয়রা। যেন সকলেই বিদেশি জামাই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) শাহজাদপুরের তরুণী মল্লিকা তার এ বিয়ের বিষয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
মল্লিকা বলেন, ‘ইনস্ট্রাগ্রামে ৩ বছর আগে আমার সঙ্গে পরিচয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আমাদের। এরপর ভালোবাসার টানে মুস্তফা ফাইক আমার সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসেন এই মফস্বল পল্লীতে। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে মুস্তফা ফাইককে বিয়ে করি আমি।’
জানা যায়, মল্লিকা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের দলিল লেখক কামরুজ্জামান মানিকের মেয়ে। ৩ বছর আগে ইনস্ট্রাগ্রামে তার ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবি দেখে পছন্দ করে ফেলেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। এরপর থেকে শুরু হয় ভাবের আদান প্রদান। তারপর শুরু হয় প্রেম। দীর্ঘদিনের প্রেমের পরিণতি দিতে সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত ২ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। অবশেষে গত সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে দুই পরিবারের সম্মতিতে মুস্তফা ও মল্লিকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
মুস্তফা ফাইক জানান, প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসেছি। পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেছেন মল্লিকাকে। তাকে বিয়ে করতে পেরে তিনি আনন্দিত ও উৎফুল্ল। সেইসাথে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি অনেক সুন্দর বলে জানিয়েছেন এই যুবক। তিন বছরের সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পাওয়ায় খুশিতে আত্মহারা মল্লিকা। ভিসা প্রসেসিং শেষ হলেই পাড়ি জমাবেন তুরস্কে। মল্লিকার মা ও স্বজনেরা এমন বিয়ে মেনে নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।