
এ যেন প্রাণ ফিরে পেল প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। টানা প্রায় সাড়ে তিন মাস পর ক্লাসে ফিরতে পারায় খুশি শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ এই সময়ে পড়াশোনায় যে গ্যাপ হয়েছে তা এবার পুষিয়ে নিতে চান তারা।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সব বিভাগে না হলেও ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ইসলামের ইতিহাস বিভাগ-সহ কিছু কিছু বিভাগের ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্লাস করতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরু হওয়ার খুশির সাথে কিছুটা চিন্তিতও বটে। কারণ, জুলাই মাসে বিভাগগুলোতে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য এই মুহূর্তে তাদের কোনো পরীক্ষার প্রস্তুতি নেই। কিন্তু খুব শিগগির পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে গত ২ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। তবে এ সময়ে বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ জুলাই থেকে ক্লাস চালুর কথা থাকলেও প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়ে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ হয়ে যায় ১৭ জুলাই। বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন। ২৭ আগস্ট নতুন উপাচার্য হন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। এছাড়া পরিবর্তন আসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে। ১২ সেপ্টেম্বর জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ক্লাস শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।