
|| নিউজ ডেস্ক ||
প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) ইতিবাচক ধারায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলারে।
এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা উপরে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। আমাদের দেশে সে পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। আর নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ২৩ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ২ বিলিয়ন ডলার বা ২০৭ কোটি ডলার। ২০২৪-’২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে এক হাজার ৭২৭ কোটি ৪০ লাখ আমেরিকান ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।