রবিবার, আগস্ট ২৪

প্রকৌশল খাতে বৈষম্যের প্রতিবাদে তিন দফা দাবিতে রাবিতে আবারও বিক্ষোভ

|| শাকিবুল হাসান | রাবি প্রতিনিধি ||

প্রকৌশল খাতে বৈষম্য নিরসনে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহারের জন্য আইন প্রণয়নসহ তিন দফা দাবিতে ফের বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ এর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার সময় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, প্রকৌশল খাতের সংস্কার’, ‘ডিপ্লোমাদের সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ‘বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করো’, ‘যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই, বৈষম্যের অবসান চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

সমাবেশে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক হাসান হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের তিন দফা দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। এখানে কোনোরকম আপসের সুযোগ নেই। প্রকৌশল খাতকে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও দক্ষ করতে হলে যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ ও পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।’

এই আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সিফাত আবু সালেহ বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, এটি একটি কাঠামোগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমরা শুধু চাই যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন এবং দেশের প্রকৌশল ব্যবস্থাকে দক্ষ, স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক করে গড়ে তোলা হোক।’

সমাবেশে তাদের উত্থাপিত তিনটি দাবি হলো, ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহারের জন্য আইন প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে, সহকারী প্রকৌশলী (৯ম গ্রেড) বা সমমান পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং ঐ পদটি শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। কোটার ভিত্তিতে বা অন্য নাম দিয়ে সমমান পদে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।

সমাবেশে সঞ্চালনা করেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত আবু সালেহ। এসময় প্রকৌশল অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *