বুধবার, জুলাই ৩০

পুরুষেরা নারীর ও নারীরা পুরুষের বেশ ধারণ একটি অভিশপ্ত কর্ম

পুরুষেরা নারীর বেশ ধারণ এবং নারীরা পুরুষের বেশ ধারণএকটি অভিশপ্ত কর্মকাণ্ড এবং স্বভাববিরুদ্ধ ও গর্হিত একটি কাজ। এর ফলে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয় এবং সমাজে উচ্ছৃংখলতা বেলেল্লাপনা ও বেহায়াপনা ছড়িয়ে পড়ে। শরী‘আতে এ জাতীয় কাজকে হারাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

কোনো ব্যক্তিকে যে আমল করার দরুন ইসলামী শরিয়তে অভিশাপ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই দলীলেই প্রমাণ করে যে উক্ত কাজ হারাম ও কবীরা গুনাহ। ইবন আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষদের মধ্যে নারীর বেশ ধারণকারীদের এবং নারীদের মধ্যে পুরুষের বেশ ধারণকারিণীদের অভিশাপ দিয়েছেন”। -বুখারী

অনুকরণ উঠাবসা, চলাফেরা, কথাবার্তা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যেমন, দৈহিকভাবে মেয়েলী বেশ ধারণ করা, কথাবার্তা ও চলাফেরায় মেয়েলীপনা অবলম্বন করা কিংবা পুরুষের বেশ ধারণ করা ইত্যাদি।

পোশাক ও অলংকার পরিধানেও অনুকরণ রয়েছে। সুতরাং পুরুষের জন্য গলার হার, হাতের চুড়ি, পায়ের মল, কানের দুল পরা যেমন অনুচিত, অনুরূপভাবে মহিলারাও পুরুষদের জামা, পাজামা, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবী পরতে পারবে না। নারীদের পোশাকের ডিজাইন পুরুষদের থেকে ভিন্নতর হওয়া উচিৎ ।

হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নত করেছেন সেই পুরুষের ওপর যে মেয়েলী পোশাক পরিধান করে এবং সেই নারীর ওপর, যে পুরুষের পোশাক পরিধান করে”।-আবু দাউদ

সুতরাং এসব ব্যাপার সবাইকে সতর্ক থাকা উচিৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *