
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
গণপ্রজাতন্ত্রী বংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ)-এর ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন (আইরিক) গতকাল পরিদর্শন করে। চলমান গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রকল্প পরিদর্শন এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণ করা ছিল পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জনাব আব্দুল লতিফ মোল্লা। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম সচিব (ডেভেলপমেন্ট-১) মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সচিব (আরএমপিএআর ইউনিট) নাজমা বেগম এনডিসি, যুগ্ম সচিব (মনিটরিং ও ইমপ্লিমেন্টেশন) আব্দুল্লাহ আল আরিফ, উপসচিব (প্রশাসন-২) সুজিত হাওলাদার এবং উপসচিব (পরিকল্পনা-১) ফারহানা করিমসহ আরও ৮ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

প্রতিনিধি দলটি আইরিক-এ চলমান বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্প ঘুরে দেখেন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখে অভিভূত হন। বিশেষত স্মার্ট এআই রিসেপশন অ্যাসিস্ট্যান্ট (SARA), নিউরোমার্কেটিং এবং সুস্বাস্থ্য.এআই-এর মতো উদ্ভাবনী প্রকল্প দেখে কর্মকর্তারা মুগ্ধ হন।
পরিদর্শনের অংশ হিসেবে “আধুনিক সরকার ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি) এর ব্যবহার” শীর্ষক একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়। আইরিক-এর পরিচালক প্রফেসর ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন কর্মশালার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যেখানে তথ্য-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ভূমিকা তুলে ধরা হয়। সরকারি কর্মকর্তারা কিভাবে এআই ও আইওটি ব্যবহারের মাধ্যমে নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, অবকাঠামো পর্যবেক্ষণ ও জলবায়ু সহনশীলতা উন্নত করা যায়, তা নিয়ে গবেষকদের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেন
কর্মশালায় কর্মকর্তারা বন্যার দিকনির্দেশনা ও সময়ভিত্তিক পূর্বাভাস, নদীতীরের ব্লক গণনা, এবং ঐতিহাসিক তথ্যের কার্যকর ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। তারা জানান, বর্তমানে বন্যার পূর্বাভাস থাকলেও নির্দিষ্ট সময় ও দিক নির্ধারণ কঠিন। আইরিক-এর গবেষকরা উন্নত এআই, স্মার্ট সেন্সর ও Narrow Band IoT প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার সম্ভাবনা তুলে ধরেন। বিশেষ করে, এআই-ভিত্তিক পূর্বাভাস ব্যবস্থার মাধ্যমে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি কমানোর সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়।
আলোচনায় সরকারি কর্মকর্তারা ও গবেষকরা একমত হন যে, উন্নয়ন ও সমস্যার সমাধানে গবেষণা ও প্রযুক্তির সঙ্গে সরকারি নীতিমালার সমন্বয় অপরিহার্য। পরিদর্শনটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে, যেখানে আইরিক, ইউআইইউ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ভবিষ্যতে গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও বিস্তৃত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আইরিক-এর অগ্রগতি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশেও বিশ্বমানের গবেষণা হচ্ছে, যা দেশের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।