বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬

পরিবেশ সংরক্ষণে অবদানের জন্য মার্কিন প্রতিষ্ঠান থেকে তহবিল পেলেন ব্র্যাকের শিক্ষার্থী

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষাথী হাসিবুল হাসান আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি এবং দ্য নেচার কনজারভেন্সি থেকে “ইকোফ্লো রিভাইভ” নামক কমিউনিটি প্রজেক্টের জন্য দুই হাজার মার্কিন ডলার তহবিল পেয়েছেন। দুই মাসের এক্সানর্শিপে মিঠাপানি এবং পরিবেশ সংরক্ষণে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে হাসিবুল হাসানকে এই তহবিল প্রদান করা হয়েছে।

দুই মাসের এক্সার্নশিপে মিঠা পানি সংরক্ষণে সমস্যা, বিশেষ করে ঢাকার বনানি লেক এবং কড়াইলের সমস্যা নিয়ে কাজ করেছেন হাসিবুল। মানুষের জীবনযাপন কীভাবে মিঠা পানি সংরক্ষণকে প্রভাবিত করছে সেটা জানতে তিনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, পরিবেশবাদী এবং সমাজের বিভিন্ন মানুষের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন।

হাসিবুল হাসানের ইকোফ্লো রিভাইভ বনানি লেকের দূষণ এবং স্যানিটেশন সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো করাইল বস্তিতে বসবাসকারী মানুষের জন্য লেকটিকে একটি টেকসই পানির উৎসে পরিণত করা।

মিঠা পানি সংরক্ষণের বিষয়টিকে কার্যকরভাবে বোঝানোর জন্য গল্পের আকারে একটি ম্যাপ তৈরি করেছেন হাসিবুল। তিনি ১২জন শিক্ষার্থীকে গবেষণা কাজে সহায়তা করেন। তারা একসাথে ইকোফ্লো রিভাইভ গড়ে তোলেন এবং দুটি গবেষণা পত্র তৈরি করেন।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে হাসিবুল হাসান বলেন, “‌এই প্রজেক্টটি আমার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করেছে এবং এর একটি ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।” এক্সার্নশিপে বিজ্ঞান এবং স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন হাসিবুল। আর্কজিআইএস টুল ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন জটিল বিষয়গুলোকে সহজে সবার সামনে তুলে ধরতে শিখেছেন। সেই সাথে এর মাধ্যমে তিনি সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ল্যাবের সহযোগিতায় ইকোফ্লো রিভাইভ প্রকল্প শুরু করতে অন্যান্য ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করেছেন।

হাসিবুল হাসান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ল্যাব এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা যিনি শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন এবং সেই সাথে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ওপেন সোসাইটি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্কের গ্লোবাল এনগেজমেন্ট ফেলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *