বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৯

নেপাল অস্থিরতার যাত্রা থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ

নেপাল হিমালয় কন্যা। ভ্রমণ পিপাসু মানুষের অন্যতম পছন্দনীয় স্থান নেপাল। হিমালয় দেখার আনন্দ, অন্নপূর্ণার চূড়ায় ভোরের সূর্যের আলো পরার রক্তিম দৃশ্যের সাথে নেপালের সংঘটিত আন্দোলনের রক্তাক্ত রাজপথের তুলনা করা চলে। নেপালকে ঘিরে অনেক ভ্রমণ কাহিনী তৈরি হয়েছে। নেপালের জনগণের চিন্তা-ভাবনা অনেকটা ভিন্ন। নেপাল ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিল আমার। ‘‘অর তিথি নারয়ণ ভবঃ এই মূল মন্ত্রে বিশ্বাসী নেপালের সাধারণ জনগণ। ইতিহাসের অনেক রক্তাক্ত অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে নেপাল। ভারত আর চীনের মাঝামাঝি অংশে আবস্থান নেপালের। সার্কভূক্ত দেশের অন্যতম সদস্য নেপাল।

রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ। টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে নেপাল বহুবার, একথা বললে ভুল হবে না। আস্থা ও বিশ্বাসের সংকটে নেপালের রাজনীতি বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাজনৈতিক টানা পোড়েন আর প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে লড়াই করে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেপাল। ফ্রান্স ও লন্ডনের রাজনীতিও এখন বেশ গরম হাওয়ার মধ্য দিয়ে চলছে। সবকিছুর মধ্যে জেন-জি শব্দটি স্থান করে নিয়েছে যার একটু ব্যখ্যা না দিলে মনে হয় এই লেখাটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

জেন-জিন বা জেনারেশন জেড (এবহ ত)হলো একটি প্রজন্ম যারা ১৯৯০ -এর দশকের শেষ থেকে ২০১০ -এর দশকের শুরু পর্যন্ত জন্মগ্রহণ করেছেন এবং যাদের ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই প্রজন্মটি তাদের ডিজিটাল নিমজ্জন এবং প্রযুক্তির প্রতি গভীরভাবে পরিচিতির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

একটু ইতিহাস থেকে পাঠ নেওয়া যাক, ১৯৬৮ সালের ১০ মে ফ্রান্সের প্যারিসে অভ্যুত্থান ঘটে। এই অভ্যুত্থান এক যুগের সমাপ্তি ও অন্য যুগের সূচনা করে। ফ্রান্সের অভ্যুত্থান শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল। সেটি ১৯৮৯ সালের পর ফরাসি বিল্পবের পথ ধরে হয়েছিল, যা ফ্রান্স ও বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছিল। ১৯৯০ সালে নেপালের রাজনৈতিক পরিবর্তন শাহ রাজবংশকেন্দ্রিক ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করে রাজা বীরেন্দ্রকে। সেই আন্দোলনের ফলেই দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৬ সালে এসে গণআন্দোলন রাজা বীরেন্দ্রর উত্তরসূরি তাঁর ছোটভাই রাজা জ্ঞানেন্দ্রকেও ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করে। এরপর ২০০৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নেপাল সাংবিধানিকভাবে ফেডারেল গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। ২০০৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪ টা সরকার দেখেছে নেপাল। কিন্তু একটিও পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। গত কয়েক দশক ধরে নানা রাজনৈতিক উত্থন পতনের মধ্য দিয়ে গেছে নেপাল। ১৭ বছরে ১৪ বার সরকার বদল কেন? কোনো স্থায়ী সমাধান খুঁজে পেল না নেপাল!

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে নেপালে। ক্ষমতার লোভে এবং নিজে রাজা হবার জন্য ভাইয়ের হাতে ভাই হত্যার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে যতগুলো হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। রাজা বীরেন্দ্র-এর সপরিবারে হত্যাকাণ্ড নেপালের জনগণকেও আহত করেছে, সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি নেপালের সাধারণ জনগণ। নেপালের সাধারণ মানুষ ধর্মের প্রতি তাদের আবেগ অনেকটা বেশী।

নেপালের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। ভাদ্র মাসে দেবাদিদেব শিবের মাথায় জল প্রদানের জন্য যে উৎসব আয়োজন করা হয় সেখানে নেপালের নারীদের বিশেষ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। নারীরা দিনটি বিশেষ ছুটি হিসেবে উপভোগ করে থাকে। আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের পর দেশের অন্তর্বতীকালীন সরকার পরিচালনার জন্য তরুণ প্রজন্ম বেছে নিয়েছে সুশীলা কার্কিকে। যদিও সিদ্ধান্ত নিতে সময় লেগেছে। ভারতে বেনারসে লেখাপড়া করেছেন সুশীলা কার্কি। ওলি ক্ষমতা গ্রহন করার পরবর্তী পর্যায়ে কতটুকু নেপালকে দিতে পেরেছেন, সেটি নিয়ে কিন্তু অনো প্রশ্ন আছে। গণতন্ত্রের নামে ধ্বংস করেছেন দেশের অর্থনীতি। বেকারত্ব যুবকদের হতাশা বৃদ্ধি করেছে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে করেছেন ধ্বংস। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত।

সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় রূপান্তর ঘটলেও অর্থনৈতিক রূপান্তর সম্ভব হয়নি। বরং সংকট বিভিন্নভাবে বেড়েছে। চাহিদা যেটা ছিল কর্মসংস্থান কিন্তু সেটি কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। দীর্ঘদিন গুটি কয়েক মানুষের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকা এবং অর্থনীতি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ দিন দিন বাড়তে থাকায় সমাজের ভেতরেই ক্ষোভ বিরাজ করছিল, যা প্রায় সময় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে পড়ে। মূলত রাজতন্ত্রের বিলোপ ঘটলেও কতিপয় ব্যবসায়িক বলয়ে দেশটি পৈর্তৃক শাসনাধীনের রূপ নিয়েছে। তুমুল বিক্ষোভের পর থম থম কাঠমুন্ডু। সবকিছু বন্ধ করে দিয়েও ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে, অর্থনৈতিক মুক্তি পেতেই এই আন্দোলন।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১১ দফার ঘোষণা দিয়েছেন। তা ছাড়া তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই এখানে জনসেবার খাতগুলো বেশ দুর্বল। যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পদ্ধতিগত সমস্যায় জর্জরিত, যা স্বাভাবিকভাবেই সমাজে ক্ষেভের দানা বপন করে রেখেছে।

অনেকের মতে নেপালের অর্থনৈতিক মন্দার একটি গুরুত্বপুর্ণ কারণ হলো নিশ্চিত না হয়ে অনুমানের ভিত্তিতে মুনাফা লাভের আশায় রিয়েল এষ্টেট তথা প্রধানত জমির মতো অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করা। তা ছাড়া দেশটির অর্থনীতির বড় একটি অংশ রেমিটেন্স নির্ভর। কর্মস্ংস্থানের অভাবে প্রতিদিন ছয় সহস্রাধিক তরুণ বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপাল এখনও গুরুতরভাবে কেন্দ্রীয় শাসনাধীন। এখানে বিকেন্দ্রীকরণের যথেষ্ট অভাব রয়ে গেছে। সংঘাত ও পদ্ধতিগত সংহিসতা রাজনীতি উত্তপ্ত করেই চলেছে।

তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই এখানে জনসেবার খাতগুলো বেশ দুর্বল। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে আন্দোলন শুরু করা হয়, পরবর্তীতে সেটি সরকার পতনের মত আন্দোলনে পরিণত হয়। শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, নেপাল বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। বেকার, ছদ্মবেকার, যুব প্রতিনিধি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরণের আন্দোলন দানা বেঁধে উঠার চেষ্টা চলছে। অনেক কিছু নেপাল সরকারে যারা দায়িত্ব পালন করছিলেন সেটি গুটি কয়েক জনগণের হাতে যারা অনুউৎপাদনশীল খাতের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। কৃষিখাতে সুযোগ থাকা সত্বেও বিনিয়োগ হয়েছে কম। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার মূলমন্ত্র হচ্ছে উৎপাদনশীল কাজে বিনিয়োগ করা। ভৌত অকাঠামো বা বিল্ডিং নির্মাণ খাত তখনই সফল হবে যখন উৎপাদনশীল খাত থেকে অর্থ প্রাপ্তি হবে।

নেপাল তৃতীয় বিশ্বের মত স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতে তাদের যে বিনিয়োগ হবার প্রয়োজনীয়তা ছিল সেটি ছিল উপেক্ষিত। পর্যটন ও রেমিটেন্সের উপর নির্ভর করতে হয় নেপালকে, যেটার উপর নেপাল সরকারের মনোনিবেশ অনেকটা কম ছিল। পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতির যে সব দেশ রয়েছে, তাদের কিন্তু এখন থেকে ভাবতে হবে। অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে ভাবতে হবে। ঋণের টাকায় বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেওয়ার ফলাফল শ্রীলংকা ইতিমধ্যে টের পেয়েছে। নেপালের দুপাশে দুটি বৃহৎ দেশের অবস্থান চীন ও ভারত। ভূ-রাজনীতিতে পরিবর্তন হয়েছে অনেক। নেপালের পতিত সরকার চীনকে প্রাধন্য দিতে গিয়ে ভারতের সমর্থন আস্থা হারিয়েছে এটি কিন্তু ভাবতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বামপন্থীরা রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া সত্বেও অনৈক্য একটি কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফ্রান্সে বিক্ষোভ কিন্তু নতুন প্রধানমন্ত্রীকে মেনে নিতে পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে তার অনেক বন্ধুকে হারাতে বসেছে শুল্কনীতির কারণে। শুল্কনীতি এখন শুল্কযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। শুল্কের চাপে অনেক দেশ নতি স্বীকার করলেও সেটা মনে হয় সাময়িক। মার্কিন মুলুকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিক্ষোভ কিন্তু দানা বেঁধে উঠেছে। যা মনে হয় ট্রাম্পের জন্য ঝড়ো হাওয়া বয়ে আনতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনকে এখন থেকে সর্তক হতে হবে কিন্তু মার্কিন প্রশাসন আদৌ কি সতর্ক হবে? নেপাল কবে শান্ত হবে। আগামী নির্বাচন অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে আগামী ৫ মার্চ ২০২৬ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

নেপালের অর্থনৈতিক মন্দার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো নিশ্চিত না হয়ে অনুমানের ভিত্তিতে মুনাফা লাভের আশায় রিয়েল এষ্টেট তথাও প্রধানত জমির মত অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করা। তা ছাড়া দেশটির অর্থনীতির বড় একটি অংশ রেমিট্যান্স নির্ভর। কর্মসংস্থানের অভাবে প্রতিদিন ছয় সহস্রাধিক তরুণ বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপাল এখনও গুরুতরভাবে কেন্দ্রীয় শাসনাধীন।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান সুশীলা কার্কিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদ্বয় শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার এক শুভেচ্ছা বার্তায় সুশীলা কার্কির সফলতা কামনা করে বলেছেন,“ ভারত ও নেপালের সম্পর্ক সৌহাদ্যপূর্ণ। দুই দেশের জনগণ আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। গণতন্ত্র রক্ষায় নেপালের তরুণদের যে ভূমিকা সেটি ভারতীয় জনগণ শ্রদ্ধা করে, আগামী দিনগুলি দুইদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।” চীনের রাষ্ট্র প্রধান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গুরুত্বসহকারে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা করেছেন। ভারত ও চীনের এই বিবৃতি সুশীলা কার্কিকে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেকটা সহজ করে তুলবে। সুশীলা কার্কি নেপালের প্রধান বিচাপতি হিসেবে যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, সেটি কিন্তু নেপালে ইতিহাস তৈরি করেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকল সময় সোচ্চার ছিলেন সুশীলা কার্কি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে সকল রায় দিয়েছেন, সেগুলি অবশ্যই মাইল ফলক হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।

ভারত ও চীনের যৌথভাবে নেপালের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন নিছক সমর্থন নয়, অনেক গুরুত্ব বহন করে। ভূ-রাজনীতিতে চীন-ভারত একসাথে যে পথ চলছে, এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। সামনের দিনগুলিতে হয়ত অনেক পরিবর্তনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিবেশী দুটি দেশ প্রত্যাশা করে আগামীদিনগুলিতে নেপালের গণতন্ত্র দীর্ঘস্থায়ী হোক। ভারত বিধ্বস্ত শ্রীলংকাকে যে সহযোগিতা করেছে তার ফলে বিধ্বস্ত শ্রীলংকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ভারত ও চীন নেপালের যুবকদের পাশে থাকবে। বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে সুস্থ জায়গায় নিয়ে আসার দায়িত্ব হয়ত তারা পালন করবেন।

সুশীলা কার্কি একটি কথা বলেছেন,“ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি, ছয় মাসের বেশি থাকব না। “একজন নারী হিসেবে নেপালের গণতন্ত্রের নব যাত্রার ইতিহাস হয়ে থাকবেন। অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্রের এই যাত্রা আশাকরি সফল হবে। ইতিহাসের মোড় ঘুরানো বহু ঘটনার সাক্ষী নেপাল। নেপালের সাধারণ মানুষ মনে করে, “এখন আমরা সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে একটি অন্তবর্তী সরকার পেয়েছি। আমরা এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এ সরকার দেশকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।“ সুদূর বাংলাদেশ থেকে আমরাও মনে করি নেপালের যুবকরা প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পাবে ও অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *