
|| নিজস্ব প্রতিনিধি ||
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট বিদায়ের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক নীতিমালা নির্মাণের বিভিন্ন সংস্কার কমিটির গঠন করা হয়েছে বটে, কিন্তু এই সমস্ত কমিশনের ওপর সওয়ার হয়ে বিভিন্ন মারাত্মক কুসংস্কার প্রস্তাবনা জমা হয়েছে। এ সব নীতিমালার মধ্যে তথাকথিত নারীবাদী নীতিমালা অন্যতম। এই নীতিমালায় কিছু বিকারগ্রস্ত ও জরায়ুর স্বাধীনতাকামীদের জঘন্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।
তারা বলেন, ফ্যাসিবাদীদের বৃহৎ অংশকে এখনো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়নি। এ জন্য প্রশাসনের ধীরগতি ও দুর্নীতি, রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারী ইত্যাদি ফ্যাসিবাদী আমলের প্রচলিত অপরাধসমূহ প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানী ঢাকায় ৫৮/১এ পুরানা পল্টনস্থ বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘সংস্কার – নির্বাচন ও সুশাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নেতৃবৃন্দ। আল্লামা আহমদ শফী রহ: মিলনায়তনে দলের আমিরে শরীয়ত মাওলানা আবু জাফর কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির আলহাজ্ব মুহাম্মদ আজম খান।
সভায় রাজনৈতিক সংস্কারের প্রশ্নে আনুপাতিক হারে নির্বাচন ও মেম্বারদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রস্তাবনাকে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার সমতুল্য বলে অভিহিত করা হয়। তারা বলেন, জনগণ তার সকল স্তরের রাজনৈতিক প্রতিনিধিকে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত করতে চায়। ফ্যাসিবাদের কুপ্রতিক্রিয়ায় সকল স্তরের অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের সিস্টেম মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হয়েছে।
তাই আগামী নির্বাচনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করে জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার দাবি জানান তারা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের নায়েবে আমির শাইখুল হাদীস মাওলানা আবুল কাশেম কাশেমী, মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি এনায়েতুল্লাহ হাফেজ্জী, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন আকন্দ, জাতীয় মানবতাবাদী পার্টির সভাপতি ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম খলিল, জনকল্যাণ পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ ওবায়দুল হক পীরজাদা, জাতীয় শক্তি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ শরিফুল ইসলাম, আলী মাকসুদ খান মামুন, সহকারী সেক্রেটারি ডা খালেদ নেজামী ইসলাম পাটির অর্থসচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, হেফাজতে ইসলামের পল্টন জোনের নায়েবে আমীর মাওলানা হাকিম আজহারুল ইসলাম নোমানী, মুফতি আব্দুর রহিম,গাজী আব্দূর রহীম দিনাজপুর, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ খান জাফরী, মাওলানা হাসান আরিফ, মাওলানা গাজী আহমদ আব্দুল্লাহ মুসা, মাওলানা আবু দাদা, মাওলানা তারেক প্রমুখ।