বৃহস্পতিবার, জুন ১২

নাগেশ্বরীতে সংঘবদ্ধ হামলায় ছাত্রদল কর্মীসহ ৪ জন আহত, অভিযুক্ত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা

|| কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ||

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কাজী মার্কেট এলাকায় এক সংঘবদ্ধ হামলায় ছাত্রদলের চার কর্মী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (১১ জুন) রাত ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন – মো. সজিব (১৭), পিতা আব্দুস সামাদ, কলেজ মোড়; মো. সজীব হোসেন (১৬), পিতা আব্দুল হামিদ, গ্রাম বলদীটারী; মো. স্বাধীন (১৭), পিতা আব্দুল মজিদ, গ্রাম বিদ্যুৎ পাড়া; এবং আসিফ মাহমুদ, পিতা আব্দুল ফরহাদ, গ্রাম বাসস্ট্যান্ড, নাগেশ্বরী। তারা বর্তমানে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১১টার দিকে কাজী মার্কেট এলাকায় ছাত্রদলের কর্মী সজিবের পথরোধ করে একদল পরিচিত নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য। তারা দাবি করে, সজিবের নিকট তাদের ১০ হাজার টাকা ‘পাওনা’ রয়েছে এবং তাৎক্ষণিক পরিশোধ করতে বলে। সজিব ও তার সঙ্গীরা এ দাবিকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতিবাদ জানালে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘবদ্ধ যুবকরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন— মো. শাহীন আলম (১৬), পিতা জাহাঙ্গীর আলম, গ্রাম বানিয়াপাড়া; মো. আশিক (১৭), পিতা মৃত মোস্তফা, গ্রাম বানিয়াপাড়া; মো. রিমন (১৭), পিতা মোজাম্মেল হক, গ্রাম মনিরচর; মো. হীরা (১৭), মো. সোহাগ, পিতা মৃত গোলাপ, গ্রাম হাউড়িভিটা; মো. মাহী (১৬), পিতা মো. রফিকুল ইসলাম, গ্রাম মনিরচর; মো. খোরশেদ (১৬), পিতা মো. খতিবর রহমান, গ্রাম হাজীপাড়া; এবং মো. সুমন (১৭), পিতা নেঙ্গা, গ্রাম মাষ্টারপাড়া।

স্থানীয়রা জানান, চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নাগেশ্বরী থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, অভিযুক্তদের বেশ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় নানাবিধ অপকর্মে জড়িত বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *