|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
দেশের মানুষ নতুন বছর তথা ২০২৫ সালেই একটা রাজনৈতিক সরকার দেখবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এবিসিডি সম্মেলনের প্রথম সেশনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সংস্কার কাজে হাত দিয়েছে। বিএনপিসহ বেশ কিছু দল যতটুকু সম্ভব সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
কিছুদিন আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলে ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এরপর জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, চলমান সংস্কার কাজ শেষে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকার কাজ সম্পন্ন হলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ ২৯ সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানালেন, ২০২৫ সালে দেশবাসী একটা রাজনৈতিক সরকার দেখতে যাচ্ছে।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অর্থনৈতিক ও আয়বৈষম্য এই মুহূর্তে বড় একটি দুশ্চিন্তার বিষয়। বৈষম্য দূর করতে মানসম্পন্ন শিক্ষা দরকার, যেখান থেকে অনেক দূরে রয়েছে বাংলাদেশ।
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘তবে, উন্নত দেশ থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আলোচনা চলমান। অনেক দেশই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।’
এ সময়, মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বাঁচতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত এস গিল। আর এই কর্মযজ্ঞে যেন উদ্যোক্তা তৈরি হয় ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ে, সেদিকে বিশেষ নজর দেয়ার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
এজন্য মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। ইন্দরমিত বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কৌশলী হওয়ার পাশাপাশি সেবা ও উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন বাড়াতে বাংলাদেশকে উদ্যোগ নিতে হবে।