শুক্রবার, জুন ১৩

নওগাঁয় মুরগি পালনে পাল্টে গেছে উদ্যোক্তা মাসুমের জীবনমান

|| মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু | নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি ||

উত্তরের জেলা নওগাঁয় দিনে দিনে পাল্টে যাচ্ছে মানুষের জীবনমান সফলতার পিছনে ছুটছে বিভিন্ন উদ্যোক্তা, এতে নিজের স্বপ্ন যেমন পূরণ হচ্ছে ঠিক তেমনি কিছু বেকার ছেলেদের কর্মস্থল হয়ে উঠছে। জেলার বদলগাছী উপজেলায় চকতাল গ্রামে স্বল্প পুঁজিতে উদ্যোক্তা হিসেবে পাকিস্তানি সোনালী মুরগি পালন করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে তরুণ-যুবক মাসুম। তিনি এখন পরিবার ও সমাজে আর্থিক অবদান রাখছেন।

মাত্র ১০ বছরে পাল্টে গেছে মাসুমের জীবনমান, নতুন করে স্বপ্ন দেখছে, বড় পরিসরে একটি খামার তৈরীর যেখানে কাজ করবে প্রায় ৩০থেকে ৪০ জন বেকার যুবক এতে করে একদিকে আমিষের ঘাটতিও মিটবে অন্যদিকে বেকারদের কর্মস্থল তৈরি হবে।

পাকিস্তানি সোনালী মুরগি যেমন অন্যান্য মুরগি থেকে খেতে সুস্বাদু ঠিক তেমনি মানুষের আমিষের ঘাটতি সুন্দরভাবে পূরণ করতে পারে। অন্যদিকে মুরগির লিটার ফসলী জমিতে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করে সুন্দরভাবে ফসল ফলাচ্ছেন কৃষকরা। মুরগির লিটার জমিতে ব্যবহার করার কারণে জমির উর্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জৈব সারের চাহিদা মিটাচ্ছে ফলে বিভিন্ন সবজি উৎপাদন বাড়তি হচ্ছে।

বর্তমানে মাসুমের খামারে প্রায় ১৫ হাজার পাকিস্তানি সোনালী মুরগী রয়েছে যা থেকে প্রতি মাসে এভারেজ ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা উপার্জন করে এই উদ্যোক্তা।
উদ্যোক্তা মাসুমের সফলতা দেখে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে সোনালী মুরগি, বয়লার মুরগি, টাইগার মুরগি সহ বিভিন্ন মুরগি পালনের ঝুকছে ছোট ছোট উদ্যোক্তা

উদ্যোক্তা মাসুম বলেন, ১০ বছর আগে মাত্র ৫শত পাকিস্তানি সোনালী মুরগি কিনে বাড়ির ছাদে পালন শুরু করি, কিছুদিন লালন পালন করে ভালো ফলাফল পাওয়াই পরে ১ হাজার মুরগির খামার শুরু করি সেই খান থেকে ডিম সংগ্রহ করে হাঁচারিতে পাকিস্তানি সোনালী মুরগীর বাচ্চা ফুটিয়ে নিজ খামারে পালন করি এবং অতিরিক্ত বাচ্চা অন্য জায়গায় বিক্রি করি।

উদ্যোক্তা মাসুম আরো বলেন, এখন আমার সেটে ১৫ হাজার মুরগি রয়েছে, যা থেকে গড়ে প্রতি মাসে ৫০থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় আসে, আমার এই সফলতা দেখে আশেপাশের কিছু যুবকেরা মুরগি পালন শুরু করেছে এবং আশেপাশের কিছু ব্যক্তি আমার সফলতা দেখে শত্রুতা শুরু করেছে আমি জানতাম না একটি মানুষ সফল হলে তার দুইটি দিগ গড়ে ওঠে একটি হচ্ছে সমাজে কিছু শত্রু হয়ে ওঠে অপরদিকে সফলতা অর্জন করায় একজন সম্মানী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত লাভ হয়।

এই বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, মুরগির লিটার ফসলী জমিতে ব্যবহার করলে ফসলের জৈব সারের চাহিদা পূরণ হয়, জৈব সারের চাহিদা পূরণ হয়ার কারণে যেকোনো ধরনের সবজি উৎপাদন ভালো হয়ে থাকে এজন্য কৃষকরা মুরগির লিটার জমিতে ব্যবহার করে থাকে এবং অল্প টাকায় মুরগির লিটার কৃষকরা সংগ্রহ করতে পারে।

বদলগাছী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: রিপা রানী বলেন, আমরা সমস্ত খামারিদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি এবং যেকোনো জরুরী ট্রিটমেন্টের জন্য আমরা সবসময় খামারিদের পাশে রয়েছি যাতে কোন রকম খামারিদের বিপদে না পড়তে হয়। বদলগাছী উপজেলায় মোট ২৬ শত ৬৯ টি মুরগির খামার রয়েছে যার মধ্যে ৯৬৪ টি রয়েছে সোনালি মুরগির খামার, বর্তমান সোনালী ও বয়লারসহ মুরগির সংখ্যা রয়েছে ১৬ লক্ষ্য ৩ হাজার ৮ শত ৫০পিস। উৎপাদিত মুরগির মাংস থেকে আমিষের চাহিদা পূরণ করে ৪০.২ পারছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *