
|| মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু | নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি ||
উত্তর জনপদের নদী বিল ও কৃষি উৎপাদন বেষ্টিত গ্রামীণ জনপদ নওগাঁ। তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রশান্তি পেতে অপেক্ষা করছে বৃষ্টির। একটু বৃষ্টিতে যেমন শান্তি পাবে জনজীবন, ঠিক তেমনি উপকৃত হবে কাচা সবজির পটল, লাউ, বেগুন, কাঁচামরিচসহ মৌসুমী বিভিন্ন ফসল। সকাল থেকে দুপর পর্যন্ত তাপের তিব্রতা সবচেয়ে বেশি এর সাথে যোগ হয়েছে ভ্যাপসা গরম।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুর ২টায় জেলার আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ (১৪ জুন) জেলায় তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে জনজীবনে অস্বস্তি।
প্রচন্ড গরমে নাজেহাল এই গ্রামীণ জনপদের মানুষ।
তীব্র তাপদাহের কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ঈদের ছুটিতে আসা ব্যক্তিদের ছুটি শেষ পর্যায়ে তবুও মিলছে না একটুও প্রশান্তি। ফ্যামিলি নিয়ে ঈদ করতে এসে তীব্র তাপদাহের কারণে অসুস্থতায় পড়তে হয়েছে অনেকের। দিনে রাস্তাগুলো প্রায় ফাঁকা বেলা ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা ও ভ্যাপসা গরমে মানুষ ছুটে বেড়াচ্ছে একটু প্রশান্তির জন্য।
তীব্র তাপদাহ ও প্রচন্ড গরমে গ্রামীণ জনপদের রাস্তাগুলো প্রায় যানবাহনশুন্য। তীব্র রোদের কারণে ভ্যান, রিকশা ও অটো চালকরা যাত্রী না-পেয়ে অলস সময় পাড় করছেন সেই সাথে হাট
বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এর প্রভাব পড়েছে গ্রামীণ জনপদের হাট বাজারে গড়ে উঠা দোকান ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না কেউ। যারা বের হচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই ব্যাবহার করছেন ছাতা, অনেকেই গাছের ছাঁয়ায় খুঁজে ফিরছে একটু প্রশান্তি। কেউবা নলকুপ/টিউবওয়েল চেপে পানিতে মুখ ধুয়ে নিচ্ছেন ক্লান্তি দূর করতে।
জেলার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলমান এই গরম আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। নিরবচ্ছিন্ন রোদ ও দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিহীনতার কারণে নওগাঁসহ আশপাশের এলাকার তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে।
এমন তাপদাহে মোকাবিলা করে শরীর সুস্থ রাখতে বেশি বেশি পানি ও স্যালাইন পানি পানসহ হাওয়াতে উচ্চ মাত্রায় দূষণ থাকলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষদের জন্য শ্বাসকষ্ট বা গলায় অস্বস্তি অনুভব করলে তীব্র তাপ পরিহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন এ জনপদের চিকিৎসকরা।