বুধবার, নভেম্বর ২৬

দেশ ও জাতির মুক্তির একমাত্র গ্যারান্টি ইসলামী অনুশাসন -ইসলামী ঐক্য আন্দোলন

|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন আয়োজিত “জুলাই গণঅভ্যুত্থান -২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে জাতীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন,
এই বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যে বাংলাদেশ চেয়েছিল তা পায়নি। এই না পাওয়ার কারণ বিপ্লবোত্তর আমূল পরিবর্তন ও বিপ্লবী সরকার গঠিত না হওয়া। ফলে প্রায় দুই হাজার লোকের শাহাদাত ও হাজার হাজার মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করলেও লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। ১৬ বছরের স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিদায় নিলেও এক বছরের মাথায় আবারো নতুনভাবে ফ্যাসিস্টদের আসার আনাগোনা ও তাদের সকল ষড়যন্ত্র কার্যকর। আমাদের এই দেশ মুসলিম জাতিসত্তার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হলেও এবং স্বাধীনতার ৫৫ বছরেও আমাদের দেশ নিজস্ব ইসলামী আদর্শ, কৃষ্টি-কালচার অনুযায়ী দেশ চালানো হয়নি বা রাষ্ট্রের আদর্শ ঠিক করা হয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনকও বটে। দেশ মুসলিম জাতিসত্তার উপর প্রতিষ্ঠিত। অথচ দেশ চালানো হয় মানবীয় খেয়ালখুশির মর্জির উপর তৈরি কাঠামোতে। যা আমাদের জন্য কখনোই কাম্য হতে পারে না।

বৈঠকের সভাপতি ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া বলেন, দেশে চলমান ও অস্থিতিশীলতার অবসান চাইলে ইসলামী অনুশাসনের বিকল্প নাই। ইসলামী অনুশাসনই পারে দেশ ও জাতির স্থায়ী ও পূর্ণাঙ্গ শান্তি নিশ্চিত করতে। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রচেষ্টাই জাতীয় ঐক্যের মাপকাঠি হতে হবে। এই জনপদের মানুষ মুক্তি চায়, নাজাত চায়। প্রয়োজনে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আবার জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টি করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থান ও গণ-জাগরণের মধ্য দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিপ্লব করতে হবে। এই চেতনার বিস্তার ঘটাতে হবে। বলিষ্ঠভাবে জাতির সামনে বিপ্লবের কথা উপস্থাপন করতে হবে। আগামী দিনে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিপ্লবই দেশ- জাতির মুক্তির গ্যারান্টি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এক্ষেত্রে সকলকেই কাজ করার তৌফিক দান করুন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের ড. শামসুর আলম খান মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, আন্দোলনের আমীর (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান।

মেহমানদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রউফ ইউসুফী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাশেমী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা রুহুল আমিন, জয়েন সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আ স ম আরিফ বিল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, সাবেক ডেপুটি এটার্নি জেনারেল এবং ইসলামী আইন ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা মোঃ আজিজুল হক ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ন মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি সৈয়দ ফখরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর মোস্তফা বশিরুল হাসান। প্রবন্ধ পাঠ করেন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রোকন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক সানাউল্লাহ খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সচেতন সমাজ (বাসস) এর আহ্বায়ক মোঃ আবু মুসলিম বিন হাই, বাংলাদেশ পাঠাগার মিশনের মোঃ ইসমাইল, ইবি তালাবার সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল হুদা, অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *